কুমিল্লার মুরাদনগরে বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের ঘটনায় জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ফজর আলী (৩৮) বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের পুর্বপাড়ার শহীদ মিয়ার ছেলে। পুলিশ বলছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৫ দিন আগে হোমনা উপজেলার স্বামীর বাড়ি থেকে বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে তার বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন ওই নারী। গত ২৬ জুন বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ওই নারীর বাবা-মা বাড়ির বাইরে গেলে অভিযুক্ত ফজর আলী ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে।
ভুক্তভোগী ওই নারী ঘরের দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে, একপর্যায়ে ফজর আলী কৌশলে ঘরে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে হাতে-নাতে আটক করে ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্তকে মারধর করে ভিডিও করে রাখে। ভুক্তভোগী নারীর দুই সন্তান রয়েছে। তার স্বামী ৫ বছর যাবত প্রবাসে থাকেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সাথে আমাদের পারিবারিক পরিচয় হয়। এই সূত্র ধরেই ফজর আলী আমাদের বাড়িতে আসেন।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান আরো জানান, ভুক্তভোগী নারী অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ওই নারীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। আসামি পলাতক অবস্থায় রয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। পুলিশের দুটি টিম অভিযানে আছে, আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হবে।
তিনি বলেন, এ ঘটনাটি যারা ভিডিও করে ছেড়ে দিয়েছে, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এমন ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।