মোঃ সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি : ভারি বৃষ্টিতে ফের জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নোয়াখালী জেলা শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। গত তিনদিন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরছে নোয়াখালী শহরে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ভারি বৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সরেজমিন টাউন হলের মোড়, আল ফারুক একাডেমি সড়ক, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়ক, পৌর বাজার, পাঁচ রাস্তার মোড়সহ পুরো শহর ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, পথ-ঘাট, সড়ক, বাসা-বাড়ি, দোকান-পাট বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে শহর জলমগ্ন হওয়ার বিষয়টি নতুন কিছি নয়। শহরের ড্রেনগুলো ময়লা-বর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়া এবং খালগুলো দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ, অপরিকল্পিত আবাসন ও দোকানপাট গড়ে তোলার ফলে বৃষ্টির পানি কোথাও যেতে পারে না। করার কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে শহর তলিয়ে যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে এই পর্যন্ত ২-৩ বার শহরের এমন করুন পরিনতি দেখা গেছে।
জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় জেলা শহরে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে। আগামী কয়েকদিনও বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়ার এমন বার্তায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। যদি এখনই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে শহর স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে বলেও মনে করছেন তারা।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, আমি ঢাকায় আছি। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কথা শুনেছি। শহর এলাকার পুকুরগুলোতে পানি কানায় কানায় পূর্ণ তাই বৃষ্টির পানি সড়কে এসে গেছে। আমরা জলাবদ্ধতা নিয়ে একাধিকবার বসেছি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। জনগণের সহযোগিতাও প্রয়োজন।
এরআগে গত ২০ মে থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে নোয়াখালী পৌর এলাকা। এতে দুর্ভোগে পড়েন পৌর নাগরিক, পথচারী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশেষ করে শহরের মাইজদী ল²ীনারায়ণপুর, ফকিরপুর, হাউজিং ও জেলখানা, ফকিরপুর, হাউজিং, ল²ীনারায়ণপুর, সার্কিট হাউস সড়ক, ফ্ল্যাট রোড ও আল-ফারুক একাডেমি সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। গত ১৬ জুন থেকে শহরে আবারো থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়।