গ্রেপ্তার মো. রাসেল চন্দ্রগঞ্জ থানার দেওপাড়া নূর মিয়া ব্যাপারী বাড়ির আবদুল খালেকের ছেলে। আর ইসমাইল হোসেন সদর উপজেলার কংশ নারায়ণপুর এলাকার আবদুর রব চৌধুরী বাড়ির সিরাজ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, বেলজিয়াম সুমনকে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও তাকে ধরতে পারেনি। সোমবার ভোরে চন্দ্রগঞ্জের দত্তপাড়ায় সুমন অবস্থান করছেন—এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় দুই রাউন্ড গুলি, ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরদিকে একই সময়ে দেত্তপাড়া এলাকা থেকে আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য মো. রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তার দেওয়া তথ্যমতে ওই এলাকার মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদের পেছনের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দেশীয় তৈরি এলজি ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, অপহরণ, মাদক, চাঁদাবাজিসহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম নোমান বলেন, পৃথক অভিযানে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি ইসমাইল হোসেন ওরফে বেলজিয়াম সুমন ও মো. রাসেল হোসেন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন, পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী-মাদক কারবারি বেলজিয়াম সুমন ও রাসেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।