শিরোনাম
◈ সবার জন্য বাধ্যতামূলক হচ্ছে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল ◈ বাংলাদেশকে উৎপাদনমুখী গ্রামে রূপান্তরে চীনের সহযোগিতা প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার ◈ বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ৬ ধরনের নতুন নোটের নকশা উন্মোচন করলো ◈ জামায়াত আমির গোপনে দোহা যাননি, বিবৃতি দলের ◈ অপসারিত বি‌সি‌বি সভাপ‌তি ফারু‌কের চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট ◈ গাজীপুরে 'রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস' থেকে সেনা সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ◈ গাজীপুরের এক সময়কার প্রবাহমান 'চিংড়ি খাল' এখন শুধুই স্মৃতির প্রতীক ◈ ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় শুধু একটি দল—প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিল প্রেস উইং ◈ গাজীপুরে কারখানার পানি পানে অসুস্থ শতাধিক শ্রমিক ◈ নির্বাচনি রোডম্যাপ নিয়ে সরকার ও বিএনপির দূরত্ব কী তিক্ততার দিকে যাচ্ছে

প্রকাশিত : ৩০ মে, ২০২৫, ০৩:৪৭ দুপুর
আপডেট : ০১ জুন, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঝিনাইদহের সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশীর মৃত্যু

ফিরোজ আহম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে আবারো এক বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষি- বিএসএফ’র বিরুদ্ধে। মহেশপুর সীমান্তের শ্যামকুড় “চেয়ারম্যান ঘাট” এলাকায় এই গুলির ঘটনা ঘটে। নিহত বাংলাদেশীর নাম নাসির উদ্দীন (৪৬)। তিনি মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় পশ্চিমপাড়ার লুৎফর রহমান ওরফে লতাফুলের ছেলে।

খবর নিশ্চিত করে স্থানীয় শ্যামকুড় ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর শহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৭ মে সীমান্তের “চেয়ারম্যান ঘাট” এলাকায় নাসির গুলিবিদ্ধ হন। সীমান্ত এলাকায় গেলে ভারতের পাখিউড়া বিএসএফ’র সদস্যরা তাকে গুলি করে। পেটে ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নাসির অত্যান্ত গোপনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে তিনি মারা যান।

এদিকে সীমান্তের একাধিক সুত্রে জানা গেছে, গত ১৭ মে শ্যামকুড় গ্রামের নাসির, একই উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের বর্ডার রিপন ও অনন্তপুর গ্রামের সোহাগ ভারত সীমান্তে গেলে পাখিউড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে প্লাস্টিক বল এ্যামিনেশন (ছররা গুলি) নিক্ষেপ করে। গুলিতে নাসিরসহ তার দুই সহযোগী আহত হন। বিষয়টি গোপন রেখে গুলিবিদ্ধরা গোপনে চিকিৎসা নেন। অন্য দু’জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও নাসির মারা যান।

নিহত নাসিরের প্রতিবেশি চাচা শ্যামকুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহানুর বলেন, তার ভাতিজা মারা গেছেন এটা সত্য, তবে কিভাবে মারা গেছেন তা তিনি জানেন না। শুক্রবার জুম্মাবাদ তার দাফন হবে বলেও তিনি নিশ্চত করেন।

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ফেরদৌস খান জানান, নাসিরের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি তার বাড়িতে যান। কিন্তু বিএসএফ’র গুলিতে মারা গেছে এমন কথা পরিবারের কেউ স্বীকার করছে না। বিষয়টি তারা গোপন রাখতে চাচ্ছে। তবে প্রতিবেশিদের অনেকেই বিএসএফ’র গুলিতে মারা যাওয়ার কথা বলছে।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা আক্তার জানান, এমন কথা তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে শুনেছেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান। এ বিষয়ে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রফিকুল আলম বলেন, এমন কথা শুনে তিনি ঘটনাস্থলে বিবিজি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু বিএসএফ গুলি করেছে এমন কথা পরিবারের কেউ স্বীকার বা অভিযোগও দেয়নি।
 
উল্লেখ্য এর আগে গত ১১ এপ্রিল বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ওয়াসিম ও ২৭ এপ্রিল একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে ওবাইদুর রহমান বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও বিএসএফ দুই বাংলাদেশীর লাশ এখনো ফেরৎ দেয়নি। তবে বিজিবি সুত্রগুলো বলছে নিহত দুই বাংলাদেশীর লাশ বিএসএফ ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ কারণে লাশ ফেরৎ পেতে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়