শিরোনাম
◈ ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ  ◈ বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপে উপকূলে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি, ১৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা ◈ ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন দেয়া সম্ভব: তারেক রহমান ◈ বাংলাদেশে দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন চায় ভারত, প্রধান উপদেষ্টার অভিযোগ 'দায় এড়ানোর কৌশল' বলছে দিল্লি ◈ দয়া করে থামুন, আপনি দেশের ক্ষতি করছেন, নিজের দলের ক্ষতি করছেন : তাসনিম জারা ◈ গণমাধ্যম নয়, রায়ের কপি দেখে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি: সিইসি নাসির উদ্দিন ◈ আমার পাওয়ার দরকার নাই পাওয়ার আমার পিছে ঘোরে: শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ◈ গণতন্ত্রের নিরাপদ যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, খুব শিগগিরই বাংলাদেশে গণতন্ত্র দেখতে পাবো : খালেদা জিয়া (ভিডিও) ◈ কা‌রো কথায় পদত্যাগ করার প্রশ্নই ও‌ঠে না : বি‌সি‌বি সভাপ‌তি ◈ ক্রিকেটার হাসান আলীর মা ছিনতাইকারীর কবলে, কেড়ে নিলো ২ লাখ ৩০ হাজার রুপি

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০২৫, ০৫:১১ বিকাল
আপডেট : ২৯ মে, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কালীগঞ্জে দুই মাস ধেরে নিখোঁজ দুই সন্তানের জননী

ফিরোজ আহম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : বাড়ি থেকে বের হয়ে গত দু’মাস পেরিয়ে গেলেও আজও ফিরে আসেনি ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের দুই সন্তানের জননী রিনা পারভীন (৩৭) নামের এক গৃহবধু। শহরের থানা রোডের থ্রি স্টার হোটেলের মালিক সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী রিনা পারভীন গত ১১ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ রয়েছে। এ মর্মে ১২ এপ্রিল স্বামী সাজ্জাদ কালীগঞ্জ থানাতে একটি সাধারণ ডায়েরি করলেও অদ্যবধি পুলিশও তেমন কোন আইনের  ভূমিকা বা তার হদিস মেলাতে পারিনি। পরিবারের ক্ষোভ পুলিশের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রানা প্রতাপের অলসতা গাফিলতি ও ঢিলেমির  কারণে তারা প্রতিকার পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় গৃহবধু রিনা অপহরণ, গুম না হত্যার শিকার হতে পারে এ আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবার। এ নিয়ে সন্তান স্বজনদের মাঝে চলছে শোকের মাতম। 

থানায় লিখিত এজাহার ও নিখোঁজ রিনা পারভীনের স্বামী সাজ্জাদ হোসেন জানায, গত ১১ই এপ্রিল সকাল ১০ টার দিকে তার স্ত্রী কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সারাদিন পেরিয়ে গেলেও সে বাড়িতে ফিরে না আসাতে সন্ধ্যার পর স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইলে ফোনে কল দিলে বন্ধ পায়। রাতে ও পরদিন নিকট আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান মেলেনি উগিদ্ব হয়ে পড়ে। পরে রাতেই তার স্বামী সাজ্জাদ হোসেন কালীগঞ্জ থানাতে একটি এজাহার দায়ের করেন। সাজ্জাত জানান, পুলিশ তার স্ত্রীর মোবাইল ট্র্যাকিং করে গত ১৩ই এপ্রিল পাবনা ও ২৩ এপ্রিল বরিশালের পিরোজপুরে কিছু সময়ের জন্য মোবাইল অন পেয়েছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা থানার এস আই রানা প্রতাপের অসহযোগিতার কারনে আজো তার সন্ধান বা উদ্ধার হয়নি। 
 
সাজ্জাদ হোসেন আরো জানায়, তার স্ত্রী রিনা ১১ এপিল বাড়ী থেকে বের হয়েছে। কিন্তু তার ১০ দিন আগে ১লা এপ্রিল কুষ্টিয়া মিরপুর থানায় ১নং চিলশিয়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্টার নুরুল আমিন খান স্বাক্ষরিত একটি তালাকনামার কপি গত ১২ই মে ডাকযোগে তার হাতে আসে। সেটির সত্যতা জানতে তিনি ওই রেজিষ্টারের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এবং তালাক নামাতে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের দু’জন স্বাক্ষীর বিষয়ে খোজ নিয়ে তাদেরও কোন হদিস পাননি। তার ধারনা তালাকের ঘটনাটি প্রতারক চক্রের সাজানো নাটক হতে পারে। তবে, তালাকনামার বিষয়টির সত্যতা জানতে নিকাহ রেজিষ্টার নুরুল আমিন খানের মুঠোফোনে মঙ্গলবার রাত নয়টায় দিকে কয়েকবার কল দিলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
 
পৌর এলাকার চাপালী খানা গ্রামের পাড়ার বাসিন্দা স্বামী সাজ্জাত হোসেন আরো জানায়, ছোয়াদ ইসলাম (২২) ও মোছাঃ জারিন (১৪) নামে তাদের দুটি সন্তান আছে। তালাক বা সংসার করবে না এমন কোন বিষয় থাকলে স্ত্রী সন্তানদের কাছে অবশ্যই বলত। সাজ্জাত আরো বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের টুটুল হোসেন নামে এক যুবক তার স্ত্রীকে প্রায়ই মোবাইলে ডিস্টাব করতে। পরে সেখানেও খোজ নিয়ে স্ত্রীর কোন সন্ধান পাননি তারা।
 
পরিবার ও সাজ্জাদ হোসেনের ভার্ষ্য, তার স্ত্রী রিনা কোন সঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্র বা অপহরণকারীদের খপ্পরে পড়তে পারে। কারন তার স্ত্রীর কাছেই সাত ভরির মত সোনার গহনা ও প্রায় লক্ষাধিক টাকা ছিল। হয়ত এসব হাতিয়ে নেবার উদ্দেশ্যেই কোন চক্র তাকে ফুসলিয়ে অপহরণ পূর্বক গুম করতে পারে বলে আশংকা করছে। থানাতে অভিযোগ দেবার পর প্রায় দু’মাস অতিবাহিত হলেও সন্ধান না পাওয়াতে তাদের শংকা বাড়ছেই। এ নিয়ে ছেলে মেয়ে ও পরিবারের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। 
 
স্বামী সাজ্জাত হোসেনের দায়েরকৃত এজাহারের বিষয়ে থানার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রানা প্রতাপ বলেন, তিনি প্রথম দিকে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে নিখোজ রিনা পারভীনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছেন। গত দু’সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী স্বামীর কাছে একটি তালাকনামা পাঠিয়েছেন। নিখোজ মহিলটি একজন এডাল বয়সের। যে কারনে তিনি তালাকনামাটি যাচাই বাছাই করার প্রয়োজন বোধ করেননি।  এবং অভিযোগের বিষয়ে আর এগোননি বলে সাফ জানান তিনি। 

তবে গৃহবধু নিখোজ এজাহারটির তদন্ত কর্মকর্তার অসহযোগিার বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, আমি এখন একটি জরুরী মিটিংয়ে রয়েছি। অসহযোগিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান তিনি।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়