শিরোনাম
◈ পলাতক আ.লীগের নেতাদের জমি বিক্রির হিড়িক: টাকা পাচার হচ্ছে দুবাই, কানাডা, ইউরোপে! ◈ সরকারের নতুন আয়কর প্রস্তাব: নতুনদের জন্য ছাড়, উচ্চ আয়ের জন্য কর হার বাড়ছে ◈ আমাদের সমুদ্র সোনার খনি:‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ◈ এ এক অন্য রকম আয়নাবাজী: ১২ বছর ধরে অন্যের নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি, অবশেষে ফাঁস হলো প্রতারণা ◈ পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যান অপসারণের আল্টিমেটাম ◈ অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা পেতে যাচ্ছেন সুখবর ◈ টেকনাফ স্থলবন্দরে অচলাবস্থা: কর না পেয়ে পণ্য আটকে দিচ্ছে আরাকান আর্মি ◈ পাহাড়ধস ও জলাবদ্ধতার সতর্কতা, ১১ জেলায় বন্যার শঙ্কা ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা ◈ জামাতের সঙ্গে ঐক্যে বিতৃষ্ণা: নতুন দল এনসিপি-কে বর্জনের ঘোষণা সংগীতশিল্পী সায়ানের, ভোট না দেওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২৫, ০৪:৩৬ দুপুর
আপডেট : ২৮ মে, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৫০ বছর যাবৎ ভাড়ায় চালিত অফিসে চলে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা

হোসাইন মোহাম্মদ দিদার (দাউদকান্দি) কুমিল্লা :  অগোছালো একটি কক্ষ। চেয়ার টেবিলের ধরনও সাধারণ। ছোট্খাটো একটি রিডিং টেবিল। পরিপাটি শব্দটি এখানে অচেনা। সাধারণ একটি ওনার বোর্ডে ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের  নামের তালিকা।  অথচ কোনো ভাবেই বুঝার উপায় নেই, এটা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। তবুও জনসেবা চলছে পুরোদমে। সেবাপ্রত্যাশীরা আসছে, নাগরিক সেবা গ্রহণ শেষেে হাসিমুখে ফিরছে সাধারণ মানুষজন।
 
বলছি, দাউদকান্দি উপজেলার সবচেয়ে দক্ষিণের দৌলতপুর  ইউনিয়ন পরিষদের কথা। মঙ্গলবার (২৭ মে) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে পটপরিবর্তনের পর এই ইউনিয়নের ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান  ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম।  তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জনসাধারণের সুবিধার্থে পালেরবাজারে একটি চার কক্ষের অফিস ভাড়া নিয়ে একটি অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করে জনগণকে নাগরিক পরিষেবা দিচ্ছেন। এর আগে এই ইউনিয়ন যারাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা তাদের নিজ বাড়িতেই অফিস পরিচালনা করতেন বলে জানা গেছে। এতে জনগণের ভোগান্তি থেকেই যেত।পালের বাজারে ইউনিয়নের মিডল সেন্টার হওয়ায় ৯ টি ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার ভোটার নাগরীক সেবা পেতে সুবিধা হচ্ছে। 
 
 
তবে এই ৯ মাসে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো পিছপা হননি বর্তমান চেয়ারম্যান , বরং আন্তরিকতার সঙ্গে জনসেবা দিচ্ছেন। এই সেবা পেয়ে সেবা গ্রহীতারা এখন ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের প্রতি সন্তোষ করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার তাকে মানবিক চেয়ারম্যান হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। রাস্তাঘাট, কালভার্ট, প্রতিটি ইউনিয়নে লিংক রোড, রাস্তার সংস্কার,ঈদগাহ, কবরস্থান, মসজিদ ও মন্দিরেও দৃশ্যমান উন্নয়ন করে তাক লাগিয়েছেন এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম।  
 
এদিকে চেয়ারম্যান পরিষদের নিজস্ব কার্যালয় দ্রুত সময়ে নির্মাণ করার দাবিও জানান স্থানীয়রা ও জনপ্রতিনিধিরা।
 
দৌলতপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো.আব্দুস ছালামের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ব্যাপক গতি এসেছে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে। এলাকার রাস্তা-ঘাট উন্নয়নে তার রয়েছে  নিরলস প্রচেষ্টা। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে তিনি চান এলাকার সব উন্নয়ন কাজ শেষ করতে।
 
এলাকার মানুষের সুবিধার্থে আব্দুস ছালাম  অস্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদ অফিস  পালের বাজার স্থাপন করায় এতে এলাকার উপকারভোগীদের পরিষদ সংক্রান্ত যেন কোনো সেবা দিতে পারছেন সহজেই। এদিকে যুগ যুগ ধরে এলাকায় পরিষদের স্থায়ী ভবন না থাকায় বিড়ম্বনাও পোহাতে হয় ইউনিয়নবাসীর।  
 
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের কাজে খুশি এলাকাবাসী। তারা বলছেন, পরিষদে সার্বক্ষনিক তিনি (চেয়ারম্যান) অফিস করেন। এলাকার মানুষজন যে কোন সমস্যায় তার কাছে আপনজনের মত ছুটে আসেন। তিনিও গভীর মনযোগ দিয়ে তাদের সুবিধা অসুবিধা শুনেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন। তিনি সরকারি অনুদানের পাশাপাশি নিজ অর্থায়নে বালুরচর গ্রামবাসির জন্য কবরস্থান ও ঈদগা এর উন্নয়ন কাজ করে দেন। যা এখন দৃষ্টিনন্দন। 
 
এলাকায় সদালাপী,  সজ্জন ও পরোপকারী হিসেবে পরিচিত আব্দুস ছালাম চেয়ারম্যান । ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি এলাকাবাসীর জন্য অন্তপ্রাণ একজন মানুষ। এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখে তিনি নিবেদিত প্রাণ।দৌলতপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়ে আব্দুস ছালাম নিজেকে উজাড় করে দিয়ে চলছেন মানুষের তরে। বৃহৎ পরিসরে কাজ করার সুযোগ পেয়ে তিনি একাকায় শিক্ষার মানোন্নয়ন, মাদক নির্মূল ও বাল্য বিবাহরোধে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।  এলাকার উন্নয়নে তিনি সব সময় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামত গ্রহণ করেন বলে জানায় ইউনিয়নবাসি।
 
দ্রুত ইউনিয়ন কার্যালয়ে স্থাপনের দাবি জানিয়েছে  এলাকাবাসি:
স্বাধীনতার দুই বছর পর মিয়া মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ১৯৭৩ সনে এই এই ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।এই ইউনিয়নে বর্তমানে ১১তম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুস ছালাম। অথচ এই দীর্ঘ সময়েও নিজস্ব কার্যালয় দাঁড় করাতে পারেননি এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা। তবে এবার জনতার দাবি যত দ্রুত সম্ভব একটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় স্থাপন করা। এতে বর্তমান চেয়ারম্যানও সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ করছেন একটি কার্যালয় স্থাপন করার জন্য।
 
 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসক নাঈমা ইসলাম জানান,"  আমি দৌলতপুর ইউনিয়ন পারিষদ কার্যালয়ের জায়গা নির্বাচনে পদক্ষেপ নিয়েছি। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে।  হয়তো দ্রুত আমরা একটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় উপহার দিতে পারব।"
 
 
উন্নয়নমুখী বিভিন্ন কাজ ও ইউনিয়ন পরিষদ স্থাপনের বিষয়ে দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের  দায়িত্বে থাকা আব্দুসনছালাম চেয়ারম্যান বলেন," আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে জনসাধারণের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছি। আমার ভালো মন্দ এই ইউনিয়নের জনগণ বিচার করবে। 
 
আমার সর্বাত্মক চেষ্টা এই ইউনিয়নের জনগণের জন্য  কাজ করার জন্য। সকল অসমাপ্ত উন্নয়নমুখী কাজ সমাপ্ত করতে চাই। খুব দ্রুত সময়ে একটি ইউনিয়ন পারিষদ কার্যালয় স্থাপনে ইউএনও স্যার কথা দিয়েছেন।"
 
 
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়