আইরিন হক, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: ভারত-পাকিস্থান যুদ্ধ আতঙ্ক কাটিয়ে আবারো স্বাভাবিকের পথে বেনাপোল -পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি,রফতানি বাণিজ্য। পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাণিজ্যে নিরাপত্তা বিঘ্নের আশঙ্কায় ভারতীয় ট্রাক চালকেরা অনেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ করায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে এপথে বানিজ্য কমিয়েছিলেন। গতকাল ভারত থেকে ৪২৬ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও ভারতে রফতানি হয়েছে ১৮৭ ট্রাক পণ্য।
বানিজ্য সংশিষ্টরা বলছেন, বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ভারত কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৫ কিলোমিটার। স্থলপথে ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে বানিজ্য হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে তার ৮০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর রুট ব্যবহার করে। সাম্প্রতি ভারত শাসিত কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী আক্রমনে ২৬ পর্যটক নিহত হয়। এ ঘটনায় ভারত- পাকিস্থান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কায় অনেক ব্যবসায়ীরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে এরুটে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেয়। তবে যুদ্ধের মাত্র দুই দিনের মাথায় প্রভাবশালী রাষ্ট্র এ্যামেরিকা সরকারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বন্ধ হওয়ায় স্বস্তি ফেরে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে। নিরাপত্তার আভাস পেয়ে পুনরায় তারা এরুটে শুরু করেছেন বানিজ্য। এপথে আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্ককলকারখানার কাচামাল,মেশেনারিজ দ্রব,তৈরি পোশাক,কেমিকেল,শিশুখাদ্য ও বিভিন্ন ধরনের মাছ রয়েছে। রফতানি পণ্যের মধ্য পাট ও পাট জাত দ্রব,গার্মেন্টস,কেমিকেল,মেলামাইন ও ইলেকট্রনিস সামগ্রী উল্লেখ্য যোগ্য।
ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালক রবিন দাস জানান, যুদ্ধ শুরু হলে বাড়ির লোকজন নিশেধ করেছিল সীমান্ত যেতে। এখন যুদ্ধ ভয় কেটে যাওয়ায় পণ্য পরিবহনে সাহস পাচ্ছে তারা।
,বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম বলেন, যুদ্ধে বিরুপ প্রভাব পড়েছিল বানিজ্যে। এখন বানিজ্য স্বাভাবিক হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি,রফতানি সহসভাপতির সহসভপতি আমিনুল হক জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতে বানিজ্যে অনিশ্চযতার কারনে ব্যবসায়ীরা অনেকেই আতঙ্কের মধ্যে পড়ে বানিজ্য কমিয়েছিল। এতে বেনাপোল-পেট্রাপোল রুটে দুই দেশের মধ্যে ৩০ শতাংশ বাণিজ্য কমেছিল। এ ভয় কেটে যাওয়ায় আবার সবাই বানিজ্য শুরু করেছেন।