শিরোনাম
◈ জুলাই সনদের খসড়া গ্রহণ করবে না এনসিপি ◈ তফসিল ঘোষণা ডাকসু নির্বাচনের ◈ কিছু দল পণ করেছে পিআর ছাড়া নির্বাচনে যাবে না: ফখরুল ইসলাম ইসলাম ◈ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে জুলাই গণহত্যার বিচার: চিফ প্রসিকিউটর ◈ পেহেলগাম হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারীসহ’ নিহত ৩ ◈ প্রাথমিকের ৩৪ হাজার শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ ও পদোন্নতি ◈ অভিনেতা রাজকুমার রাও এর বিরুদ্ধে ‘জামিন অযোগ্য’ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি! ◈ ভুয়া র‍্যাবকে ধাওয়া দিল আসল র‍্যাব, পথে দুই পক্ষকেই পেটাল জনতা! ◈ যুক্তরাষ্ট্রে ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থানে থাকলে ভবিষ্যৎ ভ্রমণে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ঝুঁকি ◈ এনসিপির কাছে নীলা ইস্রাফিলের প্রশ্ন— আপনারা এতদিন আমাকে কিসের ভিত্তিতে ব্যবহার করেছেন?

প্রকাশিত : ০৭ মে, ২০২৫, ০৭:৫৬ বিকাল
আপডেট : ১৯ জুন, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

সনত চক্র বর্ত্তী,ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
 
বুধবার(৭ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। 
 
সাজাপ্রাপ্ত নুর আলম ওরফে হুমায়ুন(৩৪) মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামের মোঃ শহীদ শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় নুর আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
 
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই নারীর বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামে। মেয়ে হত্যার দায়ে তার পিতা কুতুব উদ্দিন মোল্লা গত ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করেন। 
 
মামলার বিবরনে উল্লেখ করা হয়, গত ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত পৌনে একটার সময় আমার মেয়ের স্বামীর বাড়ি উপজেলার গোপালদী গ্রামে তার পরিবারের লোকজন যোগসাজশে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে তাদের নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর আমার মেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায়। এ বিষয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের কাউকে কিছু জানান না তার স্বামীর বাড়ির লোকজন। পরদিন ২৪ অক্টোবর ভোর ছয়টার সময় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে ফোনে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারে কোন লোকজনকে না দেখে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। 
 
এর সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, মামলাটিতে মোট ১২ জন সাক্ষী দেন। সকল আলামত ও সাক্ষীদের জবানবন্দীতে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়