মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী: ভয়াবহ বন্যা ও নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের কাজ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে নোয়াখালী পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খানা-খন্দে ভরা এসব সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে চরম ভোগান্তেিত পড়েছেন যাতায়াতকারীরা। দ্রুত সড়কগুলো টেকসই সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী।
জানা গেছে, ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠতি নোয়াখালী পৌরসভার আয়তন ১৭ দশমিক ১১ বর্গ কিলোমিটার। প্রথম শ্রিেণর এ পৌরসভায় প্রায় দেড় লাখ মানুষের বসবাস। গেল বছরের ভয়াবহ বন্যা পরবর্তী ৩ মাসের বেশি সময় জলাবদ্ধতায় নির্মজ্জতি ছিল এই পৌরসভার বেশিরভাগ সড়ক। চলতি মৌসুমের শুরুতেই প্রবল বর্ষণে পুন:জলাবদ্ধতায় নির্মজ্জতি হয় সড়কগুলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার হাউজিং এস্টেেটর সেন্টাল ও শাখা সড়ক, নতুন বাস স্ট্যান্ড-বিদ্যুৎ অফিস সড়ক, মাইজদী বাজার-রেলস্টশেন সড়ক, আল-ফারুক একাডেমি সড়ক, সোনাপুর-গির্জা-জেলা পরিষদ ডাক বাঙলো সড়কসহ পৌরসভার ৭০ শতাংশ সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে খানা-খন্দরে সৃষ্টি হয়। বন্যা পরবর্তী শুকনো মৌসুমে সড়কগুলো সংস্কার না করায় এক বছরের বেশি বেহাল এই সড়কগুলো এখন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
সামান্য বৃষ্টেিতই সড়কে পানি জমে কাঁদায় একাকার হয়ে প্রতিটি সড়কে দেখা দিয়েছে বড় বড় গর্ত। এতে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা, নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ। বেহাল সড়ক সাময়িক চলাচলের উপযোগী করতে ইট-বালু, কংকিট ফেললেও তা অত্যন্ত নিন্মমানের। বর্তমানে বেহাল সড়কে ভোগান্তেিত পড়ছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, কর্মজীবি ও সাধারণ মানুষ।
শহরের হাউজিং এলাকার বাসিন্দা আকরাম হোসেন হৃদয়, হরিনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা ইমাম উদ্দনি, সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা আশ্রফুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের বন্যায় সড়কগুলো ৩ মাস পানির নিচে তলিয়ে ছিল। অন্যদিকে নিন্মমানের নিমার্ণ সামগ্রী দিয়ে প্রস্তুত সড়কগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। বন্যার পর ৬-৭ মাস পুরোদমে শুকনো মৌসুম থাকলেও পৌরসভা থেকে সড়কগুলো সংস্কারের উদ্যােগ নেয়া হয়নি। গত কিছুদিন আগেও প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় পুনরায় সড়কগুলো আরো বেহাল হয়ে পড়েছে। ফলে পৌরবাসীর ভোগান্তি বেড়েছে দ্বগিুণ। ভোগান্তি লাঘবে সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তারা।
প্রথম শ্রণেীর এই পৌরসভার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার এমন করুন অবস্থায় উদ্বগে প্রকাশ করেছেন জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তরিা। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে উন্নয়নের নামে হরিলুটের কারণে এখানে সড়ক ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন হয়নি। অন্যদিকে যথেষ্ট সময় পেয়েও পৌর কর্তৃপক্ষ গেল বছরের বন্যা পরবর্তী সময়ে সড়কগুলো সংস্কারে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় পৌর নাগরিকরা ভোগান্তেিত পড়েছেন।
বেহাল সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া না গেলেও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বেলাল আহম্মদে খান সড়কের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, জলাবদ্ধতার কারণেই সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওয়ার্ড ভিত্তকি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের তালিকা প্রস্তুত হচ্ছ।ে শীঘ্রই সড়কগুলো সংস্কারের উদ্যােগ নেওয়া হবে।
বেহাল সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার না হলে পরিস্থিিত আরো জটিল হবে আশঙ্কা করে টেকসই সড়ক উন্নয়নের প্রত্যাশা করছেন পৌরসভার বাসিন্দারা।