অমর ডি কস্তা, নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে জোরপূর্বক ১১টি দোকান দখল করে নেওয়ার অভিযোগে জামায়াত নেতাসহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার আহমেদপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জোয়াড়ি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ও আহমেদপুর এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে রুহুল আমিন (৪৫), তার ভাই জামায়াত কর্মী আজিমুদ্দিন (৪০), বিএনপি কর্মী হায়দার আলী (৪৮) ও তার পিতা মুজিবর রহমান (৭০)কে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় নাটোর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আহমেদপুর বাজারের চলমান ১১টি দোকান তাদের জমির মধ্যে এমন দাবি করে জামায়াত নেতা রুহুল আমিন ও তার ভাইয়েরা প্রতি মাসে দোকানপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা দাবী করে। এই টাকা দিতে অস্বীকার করলে সোমবার বেলা ১১টার দিকে তারা ২০/২৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের মারপিট করে। এক পর্যায়ে তারা আমাদের ১১টি দোকান তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। ভুক্তভোগীরা হলেন, উপজেলার জোয়াড়ি নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কোরবান আলী, শাহ আলম হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ও মোতালেব হোসেন।
ভুক্তভোগী কোরবান আলী বলেন, বিকেলে সেনাবাহিনী ও বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ অভিযান করে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে ও ১১টি দোকান অবমুক্ত করে দেয়।
জামায়াত নেতা রুহুল আমিন জানান, এই জমি আমাদের। দীর্ঘদিন যাবত তারা দখল করে আছে। জমি ফেরত চাইলে তারা দেয় না। আমরা কোর্টে মামলা করেছি। কিন্তু এভাবে দোকানে তালা দেওয়া আমাদের ঠিক হয় নাই।
বিএনপি কর্মী হায়দার আলী বলেন, উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ও জোয়াড়ি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে সমাধান করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। তবে তারা সেটি মানে নাই, তাই আমরা দখল করেছি। কিন্তু সেটিও আমাদের ঠিক হয় নাই।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ভুক্তভোগী থানায় মামলা করেছেন। আসামীদের মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।