শিরোনাম
◈ নির্বাচনের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো পুলিশ: প্রস্তুতি, চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা ◈ "পাষন্ড স্বামীর কান্ড" ঈদের দিন স্ত্রী কে জবাই করে হত্যা ◈ দ্রুতগতিতে টার্ন নিতে গিয়ে যাত্রীবাহী কোচ খাদে পড়ে ৫৫ যাত্রী আহত ◈ সৌদি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জানা গেলো ২০২৬ সালে কবে রমজান ও ঈদ ◈ ‌ক্রিকেটার‌দের পাওনা টাকা না দিয়ে দেশ ছাড়া ক‌রে‌ছে ওমান ক্রিকেট বোর্ড ◈ ভারতে দাঙ্গা লাগাতে চেয়েছিল পাকিস্তান'- জম্মু-কাশ্মীর সফরে গিয়ে বলেছেন নরেন্দ্র মোদী ◈ ‌টি‌কি‌টের দা‌বি‌তে বাফুফে ভবনের সামনেই ফুটবল আলট্রাসের ঈদ ◈ নেত্রীর সঙ্গে দেখা আমাদের প্রেরণা দেয়’—ঈদ রাতে ফিরোজায় বিএনপি নেতারা ◈ প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব? কী বলছে নির্বাচন কমিশন ও বিশেষজ্ঞরা ◈ স্যার পাঁচ বছর, স্যার পাঁচ বছর’

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০১:৪১ দুপুর
আপডেট : ২০ মে, ২০২৫, ০৩:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তবর্তী উপজেলা গুলোতে অবাধে ব্যবহার হচ্ছে ভারতীয় সিম!

জাকির হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলা ভারতের সীমান্তবর্তী ঘেঁষা জেলা হওয়ায় ৪টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগুলোতে অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল সিম কার্ড। এতে করে সীমান্তে চোরাচালান বৃদ্ধিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে কয়েকগুণ। এছাড়া অবাধে ভারতীয় মোবাইল সিমের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বিপুল পরিমাণ রাজস্বও হারাচ্ছে সরকার। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছে সচেতন মহল। তারা সীমান্তবর্তী উপজেলা গুলোকে দেশিয় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন।

ভারতীয় সিমকার্ড ব্যবহারে সীমান্তে চোরাচালান বৃদ্ধিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। এছাড়া অবাধে ভারতীয় মোবাইল সীমের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বিপুল পরিমাণ রাজস্বও হারাচ্ছে সরকার। এ অবস্থায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অনেকটাই নীরব। 

সরেজমিনে পীরগঞ্জ উপজেলার চান্দের হাট, বৈরচুনা, চন্দরিয়া, বৃদ্দিগাও, রনসিয়া, দানাজপুর, বেলদহী, ফকিরগঞ্জ, রানীশংকৈল উপজেলার সীমান্তবর্তী কোচল বর্ডার, ধর্মগর কাউন্সিল, হরিপুর উপজেলার বুজরুক,মানিকখারী,ভাতুরিয়া, নাগরভিটা, পারিয়া, কান্তিভিটা, হাটখোলা, বার ঘুরিয়া ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর, চাপসা, বেউরঝাড়ী, কোটপাড়া,আমজামখোর,রত্নাই, ধনতলাসহ বিভিন্ন গ্রামগুলোতে ভারতীয় সিমকার্ডে চলে ইন্টারনেটভিত্তিক সব কার্যক্রম। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের এসব গ্রামের বাজারগুলোতে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা স্মার্টফোন নিয়ে তরুণদের গল্প, জমজমাট আড্ডা দিতে দেখা যায়।

আড্ডাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, তাদের এ মোবাইল ফোনগুলোতে বাংলাদেশি মোবাইল ফোন কোম্পানি বাংলালিংক, রবি, গ্রামীণ ফোন, এয়ারটেল ও টেলিটক মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর কোনো সিমকার্ড নেই। তরুণরা মোবাইলভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা না পেয়ে ভারতীয় মোবাইল ফোনের সিমকার্ড ব্যবহার করেন। পীরগঞ্জের চন্দরিয়া বাজার সীমান্ত অঞ্চলে গিয়ে দেখা মেলে একদল তরুণের। তারা গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারসহ ইন্টারনেট ভিত্তিক ফ্রি-ফায়ার, পাবজির মতো গেমও খেলছেন। তারা তাদের মোবাইলে ব্যবহার করেন ভারতীয় কোম্পানির এয়ারটেল, জিও, ভোডাফোন, রিলায়েন্স, এয়ারসেল, টেলিনরসহ বিভিন্ন কোম্পানির সিম।

স্থানীয়রা জানান, ভারতীয় সিমের অবাধ ব্যবহারের কারণে সীমান্তের উপারে ভারতীয় চোরাকারবারীদের সঙ্গে বাংলাদেশের চোরাকারবারী ও মানবপাচারকারীরা মোবাইলে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। চালাচ্ছেন মাদকপাচারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এতে করে সীমান্ত অঞ্চলে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।

তবে ভারতীয় মোবাইল সিমকার্ড ব্যবহারকারী বাংলাদেশি নাগরিকরা জানান, বাংলাদেশের মোবাইল কোম্পানিগুলো সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ভালো নেটওয়ার্ক না থাকায় তারা বাধ্য হয়েই সেখানকার সিমকার্ড ব্যবহার করছেন।

চান্দেরহাট সীমান্তবর্তী ভবানীপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা সাহাজান আলী বলেন, আমাদের এই এলাকায় বাংলাদেশি নেটওয়ার্কের কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানির সিমকার্ড ব্যবহার করি। এ সিমকার্ড ব্যবহার করলে, আবার বিজিবিও আমাদের মাঝে মধ্যে হয়রানি করেন। বর্তমান সরকার যদি আমাদের সীমান্ত অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা করে দিত, তাহলে আমরা অনেটা উপকৃত হতাম।

রত্নাই সীমান্তের বাসিন্দা মুনসুর মিয়া বলেন, আমাদের এই এলাকার আশপাশে গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি বা অন্য কোনো সিমকার্ডের নেট পাওয়া যায় না। তাই আমরা ইন্ডিয়ান এয়ারটেল, জিও, ভোডা এই সিমগুলো চালাই। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজির আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে পদক্ষেপ আমরা নেওয়া শুরু করেছি। আমাদের দেশের যে নেটওয়ার্কগুলো আছে, তাদের বলেছি- এই এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক উন্নত করার জন্য। যাতে সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের অন্য দেশের সিম কার্ড ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়