অনুজ দেব বাপু, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ তিন মামলায় ১১৫০ জন থেকে ১৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা তিনটি দায়ের করা হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত ভবনের মূল প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হলের সামনের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া নগরীর কোতোয়ালীর মোড়ের ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
এডিসি তারেক আজিজ আরও জানান, পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্যকাজে বাধাদান, সংঘাতের মাধ্যমে জনমনে ভীতিসঞ্চারসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের হয়েছে। এছাড়া আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় আরেকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা এবং প্রিজন ভ্যান আটকে দেন। প্রায় তিনঘন্টা আটকে থাকার পর পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ দিতে চেষ্টা করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। পরে লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় বিস্তৃত হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষে পুলিশের ১০ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৩৭ জন। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রঙ্গম কমিউনিটি সেন্টারের সামনে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করে একদল দৃর্বৃত্ত।
আপনার মতামত লিখুন :