শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৪, ০৪:৩১ দুপুর
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২৪, ০৪:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে দুদকের অভিযান, পেয়েছে কেনাকাটায় অনিয়ম

এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: [২] অভিযানে পাঁচ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজার টাকায় কেনাসহ যন্ত্রাংশ কেনাকাটায় নানা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। জানা গেছে, বাজারে এ ধরণের প্রতিটি এলইডি লাইটের সর্বোচ্চ দাম ৫ হাজার টাকা। 

[৩] রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে অভিযানের সময় রেলওয়ে পর্বাঞ্চলের জিএম’র সাথে সাক্ষাৎ করে অভিযানের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তাকে প্রথমে অবহিত করা হয় বলেও জানান সহকারী পরিচালক এনামুল হক। (২৮ মার্চ) দুপুরে এ অভিযান চালায় দুদক চট্টগ্রামের তিন সদস্যের একটি টিম। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক।

[৪] তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ৯০ টি এলইডি লাইট এবং এলইডি ল্যাম্প কিনার তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলোর ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্টস সংগ্রহ করার জন্য সিওএসের দপ্তরেও গিয়েছি আমরা। সেখান থেকে ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করা হয়েছে। 

[৫] তিনি আরও বলেন, ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশ করে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়ে তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয় মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কিসের উপর ভিত্তি করে উক্ত পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে সে সংক্রান্ত কোন ডকুমন্টস পাওয়া যায়নি।

[৬] জানা যায়, ট্র্যাক সাপ্লাই কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং কাটিং জ্যাক ক্রয়সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে। এতে দেখা যায়, এ পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এ পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লংঘন বলছে দুদক। 

[৭] মূলত ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দু’টি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেওয়ায় তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। একই টিম রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেখানে অবস্থিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আরঅ্যান্ডআই’র মেরামত করা কক্ষ পরিদর্শন করেন। সেখানে ওয়াকিটকি ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।

[৮] জানতে চাইলে দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, অভিযানে আমরা প্রাথমিকভাবে বেশকিছু অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি। অভিযোগ ছিল নির্দিষ্ট মূল্যের চেয়ে আটগুণ ও ১৫ গুণ বেশি দামে এলইডি লাইট, এলইডি স্ট্যান্ড ও ওয়াকিটকি কেনা হচ্ছে। এছাড়া নূরে এলাহী ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেসব পণ্য সরবরাহ করেছে, যেখানে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। বাজার দরের একটি কমিটি আছে। 

[৯] রেলে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং কাটিং জ্যাক ক্রয়সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে দেখা যায়, এ পণ্যগুলো বাজার দর থেকে বেশি দামে ঠিকাদারের কাছ থেকে কেনা হয়েছে। চারটি বিভাগে আমরা অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নথি পর্যালোচনা করেছি, যেখানে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়