খুররম জামান: [২] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ  দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) শুরু করার জন্য লেটার অফ ইনটেন্ট (লোল) স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন।  তিনি থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাতকে ব্যবসা, বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্বের জন্য বিভিন্ন সরকারি প্রণোদনার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করার আহ্বান জানান যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। উপরন্তু, তিনি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বন্ধন জোরদার করার উপায় হিসেবে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।  

[৩] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরের পাশাপাশি শুক্রবার (২৬ এপ্রিল)  ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক একটি ব্যবসায়িক সভার আয়োজন করা হয়। অর্থমন্ত্রী  আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ,  প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা  সালমান ফজলুর রহমান,  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  আসাদুজ্জামান খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জনাব আহসানুল ইসলাম টিটু এবং পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন  উপস্থিত ছিলেন। 

[৪] আলোচনাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি গত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের সফল স্নাতক হওয়ার বিষয়টি  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্যই ঘটেছে বলে জানান। 

[৫] প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রণোদনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি থাই সরকারের কাছ থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার উপকৃত হতে পারে বলে মত দেন এবং বাংলাদেশের পর্যটন খাতে থাই বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান। 

[৫] বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সম্প্রতি প্রণীত অফশোর ব্যাংকিং অ্যাক্ট ২০২৪  উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী থাই বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ বিবেচনা করার আহ্বান জানান। তিনি আরও যোগ করেছেন যে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সেতু হিসাবে, বাংলাদেশকে একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে বিনিয়োগের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে এবং বাজারের যুক্তিসঙ্গত আকারের জন্য। তিনি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বেসরকারি খাতকে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধার আশ্বাস দিয়ে সব সুযোগ অন্বেষণ করার আহ্বান জানান।   তিনি কৃষি ব্যবসা, ডিজিটাল অর্থনীতি, লজিস্টিকস এবং লাইট ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের উপর আলোকপাত করেন যা থাই বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের জন্য বিবেচনা করতে পারে। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে, দেশগুলির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি এবং সংযোগে সহযোগিতা সহ একটি বিস্তৃত অংশীদারিত্বে বিকাশ লাভ করেছে। 

[৬] অনুষ্ঠানে থাই ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সকল বিশিষ্ট ব্যক্তি ও অতিথিদের ধন্যবাদ জানান। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর উপস্থিত ছিলেন।

কেজে/এইচএ