মাজহারুল ইসলাম : সর্বনিন্ম ২০ হাজার টাকা বেতন, কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। নৌ-শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। বরিশাল, ভোলা, মেহেন্দীগঞ্জ, পাতারহাট, উলানিয়া, ইলিশা ও মজুচৌধুরীর হাটসহ অভ্যন্তরীণ ১৪টি রুট এবং ঢাকা-বরিশাল রুটে শনিবার রাত থেকে এই ধর্মঘট চলছে। শ্রমিক নেতারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দর থেকে ধর্মঘটের কারণে কোন মালবাহী জাহাজ আসা-যাওয়া করেনি। সার, ক্লিংকার, জ্বালানি তেল ও অন্যান্য মালামালবাহী প্রায় ৭২টি জাহাজ বাঘাবাড়ি বন্দরে অবস্থান করলেও মাল আনলোড বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন জাহাজ মালিকরা।
জানা যায়, পদ্মা সেতু চালু হলেও এখনো দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের রাজধানী ঢাকা যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নৌপথ। সদরঘাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০০ লঞ্চ চলাচল করে। একই সঙ্গে খরচ কম হওয়ায় লঞ্চেই পণ্যও আনা-নেওয়া করেন। কিন্তু নৌযান শ্রমিকদের ডাকে কর্মবিরতিতে স্থবির হয়ে আছে ঢাকার প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট। বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী নৌযানগুলোও। সকাল থেকে লঞ্চ ছেড়ে না যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো যাত্রী।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম জানান, আমাদের দাবি কোনো অযৌক্তিক নয়। শ্রমিকদের দাবিগুলো নিয়ে একাধিকবার নৌ মালিক নেতাদের সঙ্গে বসেছি। তারা শুধু আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তুআমাদের দাবি-দাওয়া পূরণ করেনি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে।
এমআই/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :