জিয়া সিদ্দিকী, আমতলী (বরগুনা) : বরগুনার আমতলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্মিত ২৫টি অভ্যন্তরীণ সড়ক সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরে গেছে। বর্ষার পানি জমে সড়কগুলো বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। এছারা অধিকাংশ সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় যোগাযোগে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে।
সড়কগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। আমতলী উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানি বাজার থেকে গুলিশাখালী পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার ও গুলিশাখালী বাজার থেকে গোছখালী ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে কার্পটিং উঠে দুই বছর ধরে পড়ে রয়েছে।
কুকুয়া ইউনিয়নের মহিষকাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে চরখালী, হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সড়কের অবস্থাও ভালো নয়।
সড়কটি ২০১২ সালে নির্মাণের পর আর কোনো সংস্কার না করায় সম্পূর্ণ কার্পেটিং উঠে গেছে। আমতলী সদর ইউনিয়নের ছুরিকাটা থেকে মহিষডাঙ্গা সেতু পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অভাবে ব্যবহার অনুপযোগী। খেয়াঘাট থেকে নোমরহাট হয়ে হলদিয়া ইউনিয়নের অফিস বাজারের সাথে সংযুক্ত সড়কটি হলদিয়া এবং সদর ইউনিয়নের যোগাযোগ রক্ষাকারী একমাত্র মাধ্যম।
এ সড়কের অধিকাংশ জায়গার কার্পেটিং উঠে গর্ত তৈরি হয়েছে। একই ইউনিয়নের খুড়িয়ার খেয়াঘাট থেকে তারিকাটা এমপির বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়কেও চলা দায়। চাওড়ার ইউনিয়নের লোদা সেতু থেকে হলদিয়া সেতু পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কেরও একই অবস্থা।
কাউনিয়া বাঁধ থেকে কাউনিয়া গ্রামের কালাম মিস্ত্রী বাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের উপযোগী নয়। হলদিয়া সেতু থেকে চন্দ্রা হয়ে তালুকদার বাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার, গাজিপুর থেকে টেপুরা হয়ে হলদিয়া অফিস বাজার পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়কে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ২৫টি অভ্যন্তরীণ সড়কের করুন অবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলেই মানুষজন ও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আবদুল্লা আল মামুন বলেন, আমতলী উপজেলার খানাখন্দে সড়কগুলোর বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো মেরামতের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ পেলে শুকনো মৌসুমে রাস্তাগুলোর কাজ শুরু করা হবে। সম্পাদনায়: আল আমিন
আপনার মতামত লিখুন :