সুজিৎ নন্দী: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে মাথায় নিয়ে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আমরা সচেতনতামূলক গণ লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম নিয়েছি। এর মাধ্যমে ডেঙ্গুকে আমরা সামাজিকভাবে মোকাবেলা করতে চাই। কারণ, শুধু কীটনাশক প্রয়োগ করে ডেঙ্গু মোকাবেলা করা সম্ভব না।
মেয়র তাপস বলেন, আপনার বাসা-বাড়ি, স্থাপনার অভ্যন্তরে যে পানি জমে, থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে যে পানি জমে, আগে আমরা বলতাম ‘৩ দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন’। আমরা এখন বলছি, পারলে নিয়মিত প্রতিদিন, জমা পানি ফেলে দিন। যদি আমরা পানি জমতে না দেই, তাহলে এডিসের বিস্তার রোধ করতে পারব। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারব।
বুধবার বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ সড়কের নামফলক উন্মোচন, সড়ক উদ্বোধন এবং এই এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সড়কগুলোকেও আরো উন্নত ও প্রশস্ত করার পরিকল্পনা জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দির এবং উপাসনালয়।
তিনি বলেন, আমরা এই মন্দিরের প্রয়াত সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দের নামে আমরা এই সড়কটির নামকরণ করেছি। এই সড়কটি প্রশস্ত করার ফলে অত্র এলাকার মানুষ উপকার পাবেন।
মেয়র তাপস আরো বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে দুই সিটিতে কীটনাশক কমিটি রয়েছে। কমিটিতে বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞবৃন্দ রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আগে এখানে সকাল-বিকাল ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ যানজটে থাকতো। এই সড়ক প্রশস্ত করার মাধ্যমে আমরা এই এলাকার মানুষকে যানজট হতে মুক্তি দিয়েছি।
পরে ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অডিটোরিয়ামে মেয়র তাপসকে ‘নাগরিক সংবর্ধনা’ দেওয়া হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রানা দাশগুপ্ত, ডিএসসিসি’র সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মাকসুদা শমসের। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এসএন/এসএ