সুজন কৈরী: ঢাকার তেজগাঁও ও ফতুল্লা এলকায় অভিযান চালিয়ে একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গ্রেপ্তারকৃতরা ঢাকা ও ফতুল্লা কেন্দ্রীক মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলো বলে জানিয়েছে ডিএনসি।
ডিএনসি’র উত্তরা, ধানমন্ডি, গুলশান, তেজগাঁও এবং রমনা সার্কেলের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম শুক্রবার ও শনিবার পৃথক অভিযান চালিয়ে চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে ৫৪ লাখ টাকা মূল্যের ১১ হাজার ২০০পিছ ইয়াবা ও ২০০ গ্রাম আইস উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মাদক বিক্রির ৩ লাখ ২০ হাজার টাকাও জব্দ করা হয়েছে।
ডিএনসি জানায়, শুক্রবার হাতিরঝিলের নয়াটোলা পাগলা মাজার, তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ী ও ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- রফিক উল্লাহ (২২), সরওয়ার কামাল (২৩), ইমরান হোসেন (৩০), মহসিন (৩২), মিরাজ শেখ (৩৩)। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে শনিবার সকালে হাতিরঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রান্ত ভট্টাচার্য (২৫) ও মামুনুর রশীদ মিম (২১) নামের মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের আরো দুই সদস্যকে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো. কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, ডিএনসি বলছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রফিক উল্লাহ পেশায় মুদি দোকানি। সরওয়ার কামাল পেশায় শ্রমিক। ইমরান পেশায় ব্যবসায়ী। মহসিন পেশায় টি-শার্ট ও বেল্ট বিক্রেতা এবং মিরাজ অটোরিকশা চালক। প্রান্ত ভট্টাচার্য শ্যামলী পরিবহনের বাস সুপারভাইজার ও মামুনুর রশীদ পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান।
চক্রটি তাদের নিজ নিজ পেশার আড়ালে মাদক ব্যবসা করছে বলে খবর পেয়ে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্লাহ কাজলের সার্বিক নির্দেশনায়, ঢাকা মেট্রো. কার্যালয়ের (উত্তর) উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে গোয়েন্দ নজরদারী বাড়ানো হয় এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সিন্ডিকেটটিকে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিএনসি উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার চক্রটি টেকনাফ থেকে বাসে করে মাদক এনে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতো। নিজ নিজ পেশার আড়ালে তারা এই মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলো। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।