বাংলাদেশে দিন দিন বজ্রপাতে মৃত্যুর হার বাড়ছে। জলাভূমির হাওড় অঞ্চলখ্যাত সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনায় এই হার সবচেয়ে বেশি। এই দুর্যোগ থেকে কৃষকদের রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার দাবি উঠেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর বজ্রপাতে গড়ে ৩০০ মানুষ মারা যান। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬৭ জন বজ্রপাতে মারা গেছেন।
২০১৫ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ ঘোষণা করা হলেও প্রচার প্রচারণায় তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে অভিযোগ হাওড়বাসীর।
আষাঢ়-শ্রাবণে আকাশের রঙ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে হাওড়ে ধান কাটায় নিয়োজিত কৃষকের মনে আতঙ্ক দেখা দেয়। বিস্তীর্ণ হাওড়জুড়ে কাজে থাকা কৃষক কূলকিনারা খুঁজে পাওয়ার আগেই বজ্রপাত কেড়ে নেয় প্রাণ। দিন দিন এই আতঙ্ক বাড়ছে। হচ্ছে প্রাণহানি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মাদ কাজী মজিবুর রহমান জানান, কৃষকদের দুর্যোগসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানাতে আবহাওয়া প্রকল্পের একটা গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। ওই গ্রুপে প্রতি মুহূর্তের আপডেট দিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া একটা পোর্টালও রয়েছে। সেখানে নিয়মিত বুলেটিন হয়। এতে ইমার্জেন্সি ফরকাস্টিংও দেয়া হয়।
আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বলেন, এপ্রিল ও মে মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা বেশি থাকে। আর সে সময় ধান কাটার কাজ করেন কৃষকরা। তাই ধান কাটা শ্রমিকদের জন্য হাওড়ে আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন জরুরি।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. ইফতি খায়রুল আমিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আয়নিস্ট পার্টিকুলার পরিমাণ বর্তমানে অনেক বেড়ে গেছে। এতে বজ্রপাতের প্রভাব বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন।
তিনি আরও বলেন, বজ্রপাত যেহেতু হাইভোল্টেজের ইলেক্ট্রিসিটি প্রবাহ, আকৃষ্ট করার জন্য কোনো পাথ যদি দেয়া হয়, তাহলে মানুষ কিংবা বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষা পাবে। উৎস: সময়নিউজটিভি।