সুজন কৈরী: রাজধানীর সূত্রাপুরের ধোলাইখাল রোকনপুর এলাকায় ছুরিকাঘাতে জাবেদ আলী (৩৬) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে ধোলাইখালের রোকনপুরে ওই যুবকের বাসার সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের স্বজনরা তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানালেও পুলিশ বলছে ওই যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিজেই ছুরিকাঘাতে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত জাবেদ পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। তার বাবার নাম আবেদ আলী। জাবেদ ধোলাইখালে তার মামা ও নানাদের বাসায় থাকতেন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছোট ছিলেন।
জাবেদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী রাজীব সাহা জানিয়েছেন, জাবেদ নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তিনি অতিরিক্ত মদ্যপান করতেন এবং মাঝেমধ্যে নিজের শরীরের নিজেই কেটে পাগলামি করতেন। রাতে বাসার অদূরে পেটে ছুরিকাহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন জাবেদ। গুরুতর অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে সেখান থেকে তাকে রাত দেড়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত যুবকের মামা মো. আজিম জানান, গত শনিবার শাওন নামে এক যুবকের সাথে জাবেদের কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে শুনেছি। এরপর বাসায় ফেরার পথে জাবেদকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে জানতে পেরেছি।
সূত্রাপুর থানার ওসি মো. মইনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যা বলে মনে হয়নি। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জাবেদ মদ্যপ অবস্থায় হৈ চৈ করে লোকজন জড়ো করেন।
একপর্যায়ে বাসা থেকে একটি ছুরি এনে ঘটনাস্থলে থাকা লোকজনের সামনেই নিজেই তার পেটে ছুরিকাঘাত করেন। এরপর ছুরিটি নিয়ে পাশের দেয়াল ধরে হাটতে থাকেন। একপর্যায়ে ছুরিটি দেয়ালে রেখে পরে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে তাকে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওসি জানান, নিহতের কাছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে দেওয়া মদ পানের পারমিট ছিলো। এর আগেও তিনি মদ পান করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছেন এবং নিজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেছেন। তার শরীরে এমন অসংখ্য দাগ দেখা গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য জাবেদের মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছে নিহতের পরিবার।