সুজিৎ নন্দী: [২] দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আগেকার বছরগুলোতে আপনাদেরকে ওয়ার্ডভিত্তিক কোরবানির পশুর বর্জ্য ও হাটের বর্জ্য একইসাথে অপসারণ করা হতো। দেখা যেতো, একই যান-যন্ত্রপাতি ও জনবল দুই জায়গাতেই কাজ করছে। কিন্তু বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে এবার আমরা নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। এবার আপনাদেরকে আর হাটের বর্জ্য নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আপনারা শুধু ওয়ার্ডভিত্তিক বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবেন। প্রতিটি হাটের জন্য আমরা আলাদা আলাদা জনবল ও যান-যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করেছি।
[৩] ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানির কার্যক্রম শেষ করতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা ঢাকাবাসীকে ঈদের ২য় দিনের মধ্যে কোরবানির পশু জবাই কার্যক্রম শেষ করার আহ্বান জানিয়েছি। সে প্রেক্ষিতে আগের তুলনায় জনগণ এখন অনেকটাই উদ্বুদ্ধ হয়েছে, সচেতন হয়েছে।
[৪] মঙ্গলবার নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে করপোরেশনের কাউন্সিলর, অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কোরবানির পশুর বর্জ্য ও অস্থায়ী পশুর হাটের বর্জ্য দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় মেয়র এ কথা বলেন।
[৫] মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরো বলেন, ঈদের ৩য় দিনে আগে যে পরিমাণ পশু কোরবানি দেওয়া হতো এখন তা অনেক কমে গিয়েছে। তাই ২ দিনের মধ্যে কোরবানি কার্যক্রম শেষ করতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার এই আহ্বান অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ, কোরবানির ঈদে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঈদের আগের রাত থেকেই বর্জ্য অপসারণে কাজ শুরু করে এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে এই কাজ চলমান থাকে। আমাদের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সকলের ঈদ উদযাপন এবং তাদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসএন/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :