শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারী, ২০২২, ০৮:৫০ সকাল
আপডেট : ২৩ জানুয়ারী, ২০২২, ১১:৪১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মদ আমদানিতে পর্যাপ্ত রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার, ৫ বছরে এ খাতে আদায় ৫২ কোটি টাকা

ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: [২] ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১ অর্থ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশে বিদেশি মদ আমদানি করা হয়েছে ২.১৮ কোটি লিটার। এর মধ্যে মাত্র ১১ লাখ লিটার বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করা হয়েছে। বাকি লিটারগুলো আমদানি করা হয়েছে ছয়টি কূটনৈতিক বন্ডেড গুদামের মাধ্যমে। অথচ অ্যালকোহলযুক্ত পণ্যের উপর সর্বোচ্চ ৬০০ শতাংশ শুল্ক ধরা আছে। দেশে যত মদ আমদানি করা হয়েছে সব যদি বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করা হতো তাহলে গত পাঁচ বছরে শুধু এই খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হতো ১ হাজার ৮শ কোটি টাকা। টিবিএস

[৩] জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুসারে, ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানিকৃত মদ থেকে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এর মধ্যমে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। লাভবান হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে মদ আমদানিকারকরা।

[৪] গত বছর মোট মদ আমদানি হয়েছে ২৮ লাখ লিটার। এর মধ্যে মাত্র ৪ শতাংশ বা ১ লাখ লিটার শুল্ক আদায় করে আমদানি করা হয়েছে। বাকি লিটারগুলো শুল্কমুক্ত বন্ডেড গুদামের মাধ্যমে আমদানি করা হয়েছে।

[৫] বাণিজ্যিক ও শুল্কমুক্ত আমদানিকৃত মদের মূল্য দেখানো হয়েছে ৩৭.৫৪ কোটি টাকা। এর অর্থ হলো প্রতি লিটার মদের গড় মূল্য হলো ১৩৪ টাকা। তবে বাজারে প্রতি লিটার মদ বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন আড়াই হাজার টাকায়। ফলে বিক্রেতারা প্রতি লিটার বিদেশি মদ থেকে ১৯ গুণ লাভ করছেন। যদি প্রতি লিটার আমদানি মূল্যের সাথে আনুমানিক ১০০ টাকার পরিচালন ব্যয় যোগ করা হয়, তাহলেও বাণিজ্যিক বিক্রেতাদের লাভের পরিমাণ ১০ গুণের বেশি হবে।

[৬] অবশ্য দেশের বাজারে তৈরি মদ থেকে সরকারের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কেরু এন্ড কোম্পানির তথ্যানুযায়ী, অ্যালকোহল বিক্রি থেকে সরকারের মাসিক রাজস্ব আদায় গত নভেম্বরে ৪.৩২ কোটি টাকা হয়েছে। যা তার আগের বছরের জুলাই মাসে ছিলো ২ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মাসিক মদ বিক্রি ছিলো ১২ হাজার ৫শ থেকে ১৩ হাজার কেস। কিন্তু এই সংখ্যা গত অক্টোবরে হয়েছে ১৮ হাজার ৫৭৯ কেস। আর নভেম্বরে হয়েছে ১৯ হাজার ৪৪৬ কেস। কোম্পানিটির চিনিতে বড় ধরনের লোকসানের পরও বছর শেষে মুনাফা দাঁড়িয়ে ২৯.১৮ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২০ কোটি টাকা বেশি।

[৭] মদের সরবরাহ সহজ করতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে যেসব হোটেলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় তারা মদ আমদানি করতে পারে। সংশোধিত আমদানি নীতির খসড়ায় বলা হয়েছে, বিদেশি কর্মী আছে এমন যেকোনো প্রতিষ্ঠান ডিএনসি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে অ্যালকোহল আমদানি করতে পারবে। শুধু আমদানি করা মদ নয়, সরকার স্থানীয়ভাবে তৈরি অ্যালকোহলের সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সম্প্রতি বলেছেন, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে দর্শনায় দ্বিতীয় একটি কারখানা তৈরি করা হবে। সম্পাদনা : রাশিদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়