ফেসবুক থেকে: সাস্ট সবসময় ইউনিক। আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন একটা হলের নাম মুহম্মদ জাফর ইকবাল "জাহানারা ইমাম" এর নামে প্রস্তাব করায় শিবির তা ঠ্যাকাতে মাঠে নামলো। চার দলীয় জোটের দাপট তখন এখন যেমন একদলীয় জোটের 😉 হুমায়ূন আহমেদ ছোট একটা ঘোষণা দিলেন, শহীদ সন্তান হিসেবে এই ঘটনার প্রতিবাদে, হলের নামকরন করতে তিনি স্ত্রী-সন্তান আর মাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে অনশনে বসবেন বা বসে থাকবেন।
তাঁর সেই যাত্রা সমারোহের যাত্রা হলো। শতশত লোক যোগ দিল। আমরা সারারাত ট্রেন জার্নি করে সিলেট গেলাম। তারপর মাইক্রোবাসে করে স্পটে যাইতে রওনা দেয়া। সারারাত না ঘুম। গাড়ির দুলুনিতে তন্দ্রামতো আসছে, হঠাৎ জান্তব চিৎকার আর গাড়িতে ঢিল ছোঁড়া আর ধপাধপ লাত্থিতে আতঙ্ক নিয়ে তন্দ্রা ছুটে গেল। শিবির কর্মীরা একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রাস্তার দুপাশে দাঁড়ায়ে প্রসেসন করতেছিল।
হলের নাম জাহানারা ইমাম কি হয়েছিল? আমার মনে নাই। কিন্তু এই ইউনিক আন্দোলনটা প্রতিবাদটা মনে আছে।
এখনকার আন্দোলন করা ছেলেমেয়েগুলাও ইউনিক। তারা একসাথে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যেকোনও ট্যাগ থেকে নিজেদের মুক্ত রাখছে, মাথা নত করছে না, করছেই না।
আন্দোলনের ফলাফল কি হবে জানি না। মুহম্মদ জাফর ইকবালের কথামতো সরকারের নিয়োগ দেয়া হুইপিং করতে জানা "প্রশাসক" তথা এই নির্ল্লজ্জ বেহায়া ভিসিকে সরকার নামাবে কি না জানি না, তাতে এই আন্দোলনকারীরা ছোট হবে না, তারা নৈতিকভাবে অনেক আগেই জিতে গেছে।