শাহীন খন্দকার: [২] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় সংগৃহীত ৯৬টি নমুনার মধ্যে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়েছে। গত একমাসে রাজধানীর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, এমন রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিং রির্সাচ তথ্যে উঠে এসেছে ১৬৯ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর ন্যাযোফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং এর মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সেনোম সিকোয়েন্সিং করা হলে ওমিক্রন শনাক্ত হয়নি।
[৩] তবে ওমিক্রনে আক্রান্তরা হাসপাতালে ভর্তি রোগীর নমুনা নয়। বিএসএমএমইউ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিএসএমএমইউ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জিনোম সিকোয়েন্সের মূল তথ্য উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো.শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, রাজধানীর হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের থেকে সংগৃহীত করোনার নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে শতভাগ রোগীর ক্ষেত্রে ডেল্টা ধরন শনাক্ত হয়েছে।
[৪] বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, দুই ডোজ করোনার টিকা নিয়েছেন, এমন একাধিক ব্যক্তিও ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হওয়ার নজিরও তাদের কাছে রয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিকস অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা আঞ্জুমান বানু।
[৫] তিনি বলেন,২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনার ৯৬টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়।এসব নমুনা হাসপাতালে ভর্তি রোগী,হাসপাতালের আউটডোরে আসা রোগী ও বিভিন্ন জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
[৬] উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ওমিক্রনের উপসর্গ সাধারণত মৃদু হতে দেখা যাচ্ছে। তবে দীর্ঘস্থায়ী অন্যান্য রোগ আছে, এমন ব্যক্তি ওমিক্রন বা যেকোনো ধরনে আক্রান্ত হলে জীবনের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। সুতরাং ওমিক্রনকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।