মাজহারুল ইসলাম: [২] প্রস্তর ও ধাতব প্রত্নভাস্কর্য, টেরাকোটা, মুদ্রা ও পাণ্ডুলিপি, ধাতবসামগ্রী এবং শিলালিপি মিলে প্রায় ১৯ হাজারের মতো প্রত্ননিদর্শন রয়েছে এখানে। এরমধ্যে মাত্র ১১০০ থেকে ১২০০ নিদর্শন প্রদর্শিত হয়। স্থানসংকুলান না হওয়ায় প্রায় ৯৪ ভাগ প্রত্নসম্পদ রাখা হয়েছে গুদামঘরে। প্রদর্শিত হচ্ছে মাত্র ৬ ভাগ। নিউজবাংলা
[৩] এ জাদুঘরে রয়েছে অনেক প্রাচীন পুথি, যা রাখা হয়েছে একটি ঘরে। সেটি প্রদর্শনের জন্য নয়। যথাযথভাবে সংরক্ষণের অভাবে এগুলো এখন নষ্টের পথে। এগুলোর ডিজিটাল কপি নেই জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে। ফলে হাজার বছরের পুরোনো পুথিগুলো চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম।
[৪] বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর দেশের প্রাচীনতম সংগ্রহশালা। এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত। বাংলার প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভাস্কর্যের শ্রেষ্ঠ সংরক্ষণাগার এ জাদুঘরের সূচনা ঘটে ১৯১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। দুই বাংলার ইতিহাসে এ সমিতিই প্রথম জাদুঘর কার্যক্রম শুরু করে। ১৯১৪ সালে এই সমিতিকে ‘১৮৬০ সালের ভারতীয় সমিতি আইন’ অনুযায়ী নিবন্ধন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :