হারুন-অর-রশীদ: [২] জেলায় ভাঙ্গা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আলম মোল্লা ও সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জন ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
[৩] আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
[৪] এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে দু পক্ষ ঢাল, সঁড়কি, ইট ও লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। সকাল ১০টার দিকে ভাঙ্গা থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[৫] সংঘর্ষে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আলম মোল্লার পক্ষের আলমগীর মোল্লা (৪১), হাসি বেগম (২৭), মজিবর রহমান (৫৫), ইদ্রিস মিয়া (৫৬), সাগর মোল্লা (৩০), শেখ নান্নু (৫০), চুন্নু ফকির (৬০) ও সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলীর পক্ষের ফারুক মাতুব্বর (২৩), ইয়াছিন মাতুব্বর (৪২), একলাস মিয়া (৩২), শেখ মওদুদ আহমেদ (২২), মোঃ সোহেল (২৪), ইব্রাহীম মাতুব্বর (৩৮), আবু বক্কর (৬৫), লালন মাতুব্বর (২১), সরফুদ্দিন শেখ (৩৭) আহত অবস্থায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
[৬] জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর ভাঙ্গা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে হামিরদী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে আলম মোল্লা নির্বাচিত হন। পরাজিত হয় সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলী। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই দুই পক্ষের উত্তেজনা ছিল। সম্প্রতি আলম মোল্লার পক্ষের কয়েক ব্যক্তি বাবর আলীর পক্ষে যোগ দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে গত কয়েকদিন যাবৎ উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। পরে এ ঘটনা নিয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ।
[৭] এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ মন্ডল বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে, এ ব্যাপারে থানায় এখনও কেউ কোন অভিযোগ করেনি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সম্পাদনা: শান্ত মজুমদার