মাসুদা ইয়াসমিন: [২] ঢাকার আশুলিয়ায় দেবরের বিরুদ্ধে ভাবীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার কুন্ড সরকারের মালিকানাধীন ভাড়া বাসা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দেবর পলাতক আছে।
[৩] নিহত মারুফা (২৮) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার জাটিবুনিয়া গ্রামের মোস্তফার মেয়ে। তার স্বামী আল-আমিন কুয়েত প্রবাসী বলে জানা গেছে। মারুফা আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার কুন্ড সরকারের মালিকানাধীন ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় শারমিন গ্রুপের একটি কারখানায় চাকরি করতেন। তার মারজানা(১০) ও ফাহিম(৬) নামের দুইটি সন্তান আছে।
[৪] অভিযুক্ত হাসান(৩০) বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার লেমুয়া গ্রামের জাকির খাঁর ছেলে। সে সম্পর্কে নিহতের দেবর।
[৫] প্রতিবেশিরা জানায়, নিহতের স্বামী কুয়েত প্রবাসী। গত ৫ মাস আগে চাকরির জন্য মারুফা এই এলাকায় আসে। মারুফার দেবর হাসান প্রায়ই এখানে যাতায়াত করত। বুধবার কাজ থেকে ফিরে এসে মারুফার কোন সাড়াশব্দ না পেলে তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মারুফার লাশ নিয়ে যায়।
[৬] পুলিশ জানায়, প্রতিবেশীদের থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বুধবার রাতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। গতরাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা হাসানকে আটকের চেষ্টা করছি।
[৭] আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসিব শিকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরকীয়ার জেরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে পাশাপাশি পলাতক দেবরকে আটকের জন্য পুলিশ মাঠে কাজ করছে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: শান্ত মজুমদার
আপনার মতামত লিখুন :