ওয়াজহাতুল ইসলাম: [২] জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মচারীরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বৃষ্টিতে ভিজে মানববন্ধন করেছেন। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
[৩] বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করে প্রায় শতাধিক কর্মচারী ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। কর্মচারীদের দাবি তাদের স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
[৪] মানববন্ধন চলাকালে শেখ হাসিনা হলের মালি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দৈনিক ৩৩০ টাকা মজুরিতে কাজ করে মাসে ১০ হাজার টাকাও উপার্জন হয় না আমাদের। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে এই টাকায় সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব। আমার সাথে যারা স্থায়ী ভাবে নিয়োগ পেয়েছিল তারা তৃতীয় শ্রেণীতে চলে গেছে, তার বেতন ২০ হাজার আমার ৯ হাজার।'
[৫] সুফিয়া কামাল হলের হল অ্যাটেনডেন্ট নাঈম বলেন, ‘আমি ৭ বছর ধরে আছি, অফিস প্রধানের কাছে গেলে তিনি বলেন প্রশাসন থেকে কিছু বলছে না, আমরা নিরুপায়। পেটের দায়ে আজকে এখানে এসেছি। আমার মত ১৭০ জন কর্মচারী রয়েছে। আমাদের একটাই দাবি আমাদের স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে।’
[৬] এসময়ে নিজেদের কথা বলতে গিয়ে কর্মচারীরা অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদের মধ্যে অনেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর ধরে অস্থায়ীভাবে কাজ করছেন। নিজেদের অসহায়ত্বের কথা বলতে গিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা হল অ্যাটেনডেন্ট বলেন, ‘ আমার স্বামী প্রতিবন্ধী, দুইটা মেয়ে আছে। এই বেতনে সংসার চালানো আমার জন্যে সম্ভব হচ্ছে না আর। এর উপর একদিন অনুপস্থিত থাকলে ঐদিনের মজুরি কেটে রাখা হয়। এভাবে চলা যায় না।’
[৭] এ বিষয়ে জাবি'র উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টা আমি দেখেছি কিন্তু আমার একার পক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া সম্ভব নয়। এটা নিয়ে ভিসি ম্যামের সাথে আমি কথা বলবো।’
[৮] এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার রাশেদা আখতার বলেন, ‘তাদের নিয়োগ দেয়ার মত পদ এখন খালি নেই। আমরা ইউজিসির সাথে কথা বলবো। নতুন পদ সৃষ্টি করে তাদেরকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করবো।’
আপনার মতামত লিখুন :