ফিরোজ আহমেদ: ঢাকা শহরে লেডিস ক্লাব থেকে প্রকাশ্যে নারী অপহরণ করা গাজি গোলাম মোস্তফার পদোন্নতি হয়েছিলো, এর কয়েকমাস পর সে বাকশালের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়েছিলো। এখনকার এই প্রতিমন্ত্রীর বেলাতে অন্যথা হবে ভাবছেন? অন্যথা একটা কারণেই হতে পারে, সেটা জনপ্রতিরোধ। গাজী গোলাম মোস্তফা ছিলো তখন ক্ষমতার বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা খুঁটি, সেই তুলনায় এই প্রতিমন্ত্রী তেমন কেউ না। কিন্তু প্রতিমন্ত্রীটিকে আসলে ধন্যবাদ জানাতে পারেন, ভবিষ্যতের ইতিহাসকারদের জন্য কী কী কাজে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করার হুমকি একটা ক্ষমতাবান লোক দিতে পারে, সেই বিষয়টা আপনার সামনেও পরিস্কার হয়েছে।
ধর্ষণের অপরাধ ভয়াবহ, কিন্তু রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে সেই কাজে ব্যবহারের হুমকি যখন একজন পদবিধারী ব্যক্তি দিতে পারেন, সেটা একটা নরককুন্ডেই সম্ভব। আলো ঝলমলে উন্নয়নের বিজ্ঞাপনের আড়ালে সেই ভয়াবহ চেহারাগুলো বেরিয়ে আসছে। আসলে ক্ষমতার দম্ভ এমন যে তা গোপন থাকারও উপায় খুব একটা নেই।
এই ঘটনাগুলো অনিবার্য ছিলো, সব স্বৈরতন্ত্রেই তা অনিবার্য। কিন্তু যে স্বৈরতন্ত্রের ভিত্তি হলো গুণ্ডারাজত্ব, বুদ্ধিজীবীদের নীরবতা, মোসাহেবদের ধূর্ত শঠতা, সেখানে বিষয়গুলো অনেক বেশি জটিল চেহারা নেয়। দেশে তাই নিয়েছে। বাংলাদেশকে সৃষ্টিকর্তা রক্ষা করুন! যে মানুষের মধ্য দিয়ে তার ইচ্ছা প্রকাশিত হয়, সেই মানুষকে জাগিয়ে দিন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :