মারুফ হাসান: [২] চট্টগ্রামের খুলশী থানার জাকির হোসেন রোডের লেভেলক্রসিংয়ে বাস-ট্রেন-অটোরিকশা সংঘর্ষে পুলিশসহ তিনজন নিহত হন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত গেটম্যান আশরাফুল আলমগীর ভূঁইয়াকে আটক করা হয়েছে।
[৩] রোববার (০৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পাহাড়তলী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। যদিও দুর্ঘটনার পর রেলওয়ে থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়।
[৪] নগর পুলিশের উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার সময় কর্তব্য অবহেলার অভিযোগে জাকির হোসেন রোডের লেভেলক্রসিংয়ের গেটম্যানকে আটক করা হয়েছে। যেহেতু মামলাটি রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে, সেহেতু তাকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
[৫] এর আগে শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) সকালে নাজিরহাট থেকে একটি ডেমু ট্রেন নগরের বটতলী রেলস্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি যখন জাকির হোসেন রোডের ক্রসিং পার হচ্ছিল তখন সেখানে ছিলেন না গেটম্যান আলমগীর। তবে ওই এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মো. মনিরুল ইসলাম হাত দিয়ে দুপাশের গাড়ি আটকে রাখেন। ট্রেনটি রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় জিইসি মোড় থেকে আসা একটি বেপরোয়া বাস হঠাৎ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টেম্পুকে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়ি দুটি রেললাইনের ওপর চলে যায় এবং ট্রেনের ধাক্কায় গাড়ি দুটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
[৬] ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজও বলছে তাই। ওই ফুটেছে দেখা গেছে, আগে থেকে দাঁড়ানো ছিল দুটি অটোরিকশা ও দুটি টেম্পু। লেভেলক্রসিংয়ের বিপরীত পাশে থাকলেও আগের পাশে কোনো ব্যারিকেড ছিল না। ট্রেন যখন ক্রসিং অতিক্রম করছিল তখন হঠাৎ একটি বেপরোয়া বাস দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোরিকশা ও একটি টেম্পুকে ধাক্কা দেয়।
[৭] এ ঘটনায় দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল মনিরসহ মোট তিনজন নিহত হন। রেললাইনের পাশের দুর্ঘটনা হওয়ায় আইনানুযায়ী মামলাটি দায়ের হয় চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায়। দুর্ঘটনার সময় গেটম্যান আলমগীরের অনুপস্থিতির বিষয়টি প্রত্যক্ষদর্শীরা জানালেও অজানা কারণে মামলা থেকে বাদ যায় তার নাম।