নিউজ ডেস্ক: [২] রংপুর নগরীর ঘাঘট নদীর তীরে শুরু হয়েছে তাবলিগ জামায়াতের আঞ্চলিক ইজতেমা। বিশ্ব ইজতেমায় যারা যেতে পারেন না এমন রংপুর জেলাসহ আশপাশের জেলার ২ লাখেরও বেশি মুসল্লি এতে অংশ নেবেন বলে ধারণা দিয়েছেন আয়োজক সংশ্লিষ্টরা।
[৩] বৃহস্পতিবার ভোর থেকে নগরীর রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের পাশে উত্তম হাজীরহাটের রব্বানীর চরে তিন দিনের এ ইজতেমা শুরু হয়।
[৪] ফজরের নামাজের পর আমবয়ান শুরু করে তাবলিগ জামাতের আলেমরা। কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে আল্লাহ ও নবী-রাসুলের হুকুম আহকাম মেনে চলার মধ্যেই ইহকাল ও পরকালে সুখ শান্তি রয়েছে বলে উল্লেখ্য করেন তারা।
[৫] শীতের আমেজে মধ্যে বিশাল আয়তনের এ মাঠে দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শামিয়ানার নিচে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। মাঠে একসঙ্গে ৫০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
[৬] আয়োজকরা জানিয়েছেন, বুধবার সকাল থেকেই রংপুর জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষ ইজতেমা ময়দানে সমবেত হতে শুরু করেছেন। এখানে রংপুর মহানগর ও সদর উপজেলাসহ তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, পীরগাছা এবং কাউনিয়া উপজেলার তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজতেমায় অংশ নিতে মুসল্লিরা আসছেন।
[৭] ইজতেমায় বয়ান করতে রাজধানী ঢাকাসহ ইতোমধ্যে সৌদি আরব ও আফ্রিকা থেকে তাবলিগের মুরব্বিরা ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। সকাল থেকে স্থানীয় মুরুব্বিরাও বয়ান করছেন। পরবর্তীতে মাশোয়ারার ভিত্তিতে আগত আলেমরা বয়ানের মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াতে উদ্বুদ্ধ করবেন।
[৮] এদিকে ইজতেমা মাঠসহ আশপাশের এলাকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছেন। র্যাব, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাসহ পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরাও। ইজতেমাকে নির্বিঘ্নে করতে কন্ট্রোল রুম খোলা রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আপনার মতামত লিখুন :