মোহাম্মদ রকিব: [২] সোমবার (২৩ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিন দ্য ডিপ্লোম্যাট বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও তার মোকাবেলায় বাংলাদেশের অবস্থান বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে।
[৩] এতে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ রোল মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে ।
[৪] বাংলাদেশ গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর অববাহিকায় এবং জলবায়ু বিপর্যয়ের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের অবকাঠামো, প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা এবং আর্থিক প্রস্তুতির স্থিতিস্থাপকতা বাড়বে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে সহায়তা করবে। সেই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারে।
[৫] শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় বৈশ্বিক উত্তরণের সাথে সাথে আমার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে একটি সামগ্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। ফলস্বরূপ, কোভিড-১৯ সংকটের মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মসৃণ গতি বজায় ছিলো।
[৬] তিনি বলেন- ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, সীমিত ভূমিসম্পদ এবং ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে আমরা বিগত ২০ বছরে দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়িয়েছি।
[৭] বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সবুজ অভিযোজন হিসেবে সামুদ্রিক জ্বলোচ্ছাস প্রতিরোধে কৃত্রিম অবকাঠামো ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং উপকূলীয় বৃক্ষরোপণ করেছে।
[৮] তিনি আরও বলেন, আমার সরকার গ্রিনবেল্টের উন্নয়ন এবং বনায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে এবং ১১.৫ মিলিয়নেরও বেশি চারা রোপণ করেছে।
[৯] প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা সীমিত করার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের পথ অনুসরণ করছে, যা দায়িত্বশীলতার একটি ইতিবাচক উদাহরণ। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ