রাহুল রাজ: [২] টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষেও পারফরম্যান্সের খুব উন্নতি হয়নি মাহমুদউল্লাহদের। বাবর আজমদের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজে হারতে হয়েছে ৩–০ ব্যবধানে। ব্যাটিংয়ের যাচ্ছেতাই অবস্থা। দল নির্বাচনে অস্থিরতা—বাংলাদেশের ক্রিকেটে যেন চলছে শনির দশা। ব্যাপারটি চোখ এড়ায়নি শোয়েব আখতারেরও। পাকিস্তানের সাবেক এই ফাস্ট বোলার বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এক অর্থে নিচের দিকেই নামতে দেখছেন।
[৩] টুইটারে এক ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশ–পাকিস্তান টি–টোয়েন্টি সিরিজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’। বাংলাদেশের উইকেট নিয়েও সমালোচনায় মুখর তিনি, ‘এই উইকেটে খেলে কোনো লাভ নেই। যদি বাউন্সি উইকেটে বাংলাদেশ না খেলে, তাহলে ব্যাটিং, বোলিং কোনোটিরই উন্নতি হবে না। কেবল স্পিন দিয়ে আর কত দিন জিতবে বাংলাদেশ?’
[৪] মিরপুরের উইকেট নিয়ে সমালোচনা অনেক দিন ধরেই। কেবল বিদেশি তারকারাই নন, এই উইকেটের সমালোচনা আছে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনেও। বিশ্বকাপের আগে মিরপুরের উইকেটে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল মিরপুরের ধীরগতি ও স্পিন সহায়ক উইকেটেই। তখন অনেকেই আশঙ্কা করেছিলন, এমন উইকেটে সিরিজ জিতলেও বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ঠিকই ভুগবে। আশঙ্কা সত্যিই হয়েছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। সুপার টুয়েলভের দুটি ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও তিনটি ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে বাজেভাবেই। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে এক শর নিচেই।
[৫] পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি–টোয়েন্টি ম্যাচটা নাটকীয়ই ছিল। যদিও আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ১২৪ রানের বেশি করতে পারেনি। কিন্তু মিরপুরের উইকেটই এমন, যেখানে এমন সংগ্রহ নিয়েই লড়াই করা যায়। বাংলাদেশও লড়াই করেছে। কাল ম্যাচ শেষেই টুইটারে মিরপুরের উইকেটের সমালোচনা করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। শোয়েব আখতারও উইকেটের সমালোচনার পাশাপাশি মনে করেন ক্রিকেটে উন্নতি করতে হলে বাংলাদেশের উচিত ক্রিকেট অবকাঠামোয় আমূল পরিবর্তন আনা, ‘বাংলাদেশকে বিশ্ব ক্রিকেটে খুবই প্রয়োজন। তাদের উচিত উইকেট, ক্রিকেট অবকাঠামো, সবকিছুতেই বদল আনা, উন্নতি করা।