ইসলাম ডেস্ক: নিজের রাগ সামলাতে না পেরে অনেকেই অন্যের মা-বাবাকে তুলে গালি দিয়ে থাকেন। দেখা যায়, রাস্তায় কিংবা যানবাহনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে একে অন্যের মা-বাবাকে তুলে গালি দেন। যা খুবই জঘন্য। ডেইলি বাংলাদেশ
অন্যের বাবা-মাকে গালি দেওয়ার অপরাধ কতবেশি মারাত্মক তা জানলে অবাক হবেন। হাদিসে পাকে এসব ব্যক্তিকে নিজের বাবা-মাকে অভিশাপ দেওয়ার অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়।
এ কারণে অন্যের বাবা-মাকে গালি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবাইকে সতর্ক করেছেন। হাদিসে পাকের বর্ণনায় তা প্রমাণিত-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কবিরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় গুনাহ হলো- নিজের বাবা-মাকে লানত করা (অভিশাপ দেওয়া)।
জিজ্ঞাসা করা হলো- হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপন বাবা-মাকে কোনো লোক কীভাবে লানত (অভিশাপ) করতে পারে?
তিনি বললেন, ‘(যখন) সে অন্যের বাবাকে গালি দেয়; তখন সে (যেন) তার (নিজের) বাবাকেই গালি দেয় এবং সে (যখন) অন্যের মাকে গালি দেয়, তখন সে (যেন) তার নিজের মাকে গালি দেয়।’ [মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
অথচ কোরআন-সুন্নাহর বর্ণনায় বাবা-মার হক বা অধিকার যথাযথভাবে আদায়র করার দিকনির্দেশনা এসেছে। এমনকি বাবা-মা যেন সন্তানের কোনো কথায় ‘উফ’ শব্দও না করে সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, অন্যের বাবা-মাকে গালি না দেওয়া বরং অন্যের বাবা-মাকে মুরব্বি হিসেবে নিজের বাবা-মার মতো সম্মান করা এবং মর্যাদা দেওয়া জরুরি। আর তাতেও মিলবে সদাচরণের উত্তম সাওয়াব।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অন্যের বাবা-মাকে গালি দেওয়া থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। বাবা-মাকে লানত করার অপরাধ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।