লিহান লিমা: [২] এয়ার কোয়ালিটি ট্র্যাকার ‘আইকিউএয়ার’ এর সমীক্ষা অনুসারে ২০২০ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১’শটি দূষিত শহরের মধ্যে ৪৬টিই ছিলো ভারতের। চীনের ৪২টি, পাকিস্তানের ৬টি, বাংলাদেশের ৪টি এবং ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের ১টি করে। এই সব কটি দেশেই পিএম ২.৫ এর মাত্রা ৫০ এর বেশি।
[৩] এর মধ্যে শীর্ষ ১০ শহরই ছিলো ভারতের। ২০২০ সালে বায়ুর মান সবচেয়ে খারাপ শনাক্ত হয়েছে চীনের পশ্চিম শিনজিয়াংয়ের হোটাংয়ে। সেখানে পিএম ২.৫ এর মাত্রা ছিলো ১১০.২।
[৪] বায়ুর স্বাস্থ্য পরিমাপক পিএম২.৫ (ক্ষুদ্র কণা, যার মধ্যে রয়েছে পিএম১০ নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইড) এর উপস্থিতি বাতাসে ১২ এর কম থাকা মানে সেখানকার বায়ু ভালো। ৫৫-১৫০ মানে অস্বাস্থ্যকর এবং ২৫০ বা তার বেশি মানে বিপজ্জনক।
[৫] সারা বিশ্বের ৯০ভাগ মানুষই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বায়ুর মান অতিক্রম করে যাওয়া অঞ্চলে বাস করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর বায়ু দূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী ৭০ লাখ প্রাণহানি হয়। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস ক্যান্সার, চোখের সমস্যা এবং অ্যাজমার অন্যতম কারণ বায়ু দূষণ। সন্তানসম্ভবা নারীরা পিএম২.৫ এর সংস্পর্শে আসলে ভ্রুণের মস্তিষ্কের বিকাশে প্রভাব ফেলে।
আপনার মতামত লিখুন :