ইমরুল শাহেদ: তিনি বর্তমানে অনুদানের অর্থ সহযোগিতায় নির্মাণ করছেন ‘ক্ষমা নেই’ নামে একটি চলচ্চিত্র। এর গল্প লিখেছেন শেখ মারুফ। তিনি এক সময় দৈনিক বাংলার বাণী প্রকাশনার ‘সিনেমা’ সাপ্তাহিকীর সম্পাদক ছিলেন। জেডএইচ মিন্টু বলেন, ‘অনুদান হলো একটা উছিলা। আসলে আমি নির্মাণ করছি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি গল্পের ছবি। এটা আমার পরিচালনায় প্রথম ছবি হলেও অনেককেই চিত্রগ্রাহক হিসেবে অনেক ছবি বানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তফাত হলো এক্ষেত্রে আমাকে এককভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক ছবি হয়েছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমাকে গল্পের কথা ভাবতে হয়েছে। আমি বরাবরই চেয়েছি ভিন্ন কিছু করতে। ব্যতিক্রমী একটি গল্প নিয়েই আমার ছবিটি নির্মিত হচ্ছে। কিন্তু গল্পের ছবি বানাতে গেলে সবচেয়ে বড় সংকট হলো শিল্পীর। চরিত্রায়নে শিল্পীর ভূমিকা হচ্ছে অন্যতম।
পরিচালক যদি ‘আ’ বলেন, তাহলে শিল্পীকে ‘ম’ যোগ করতে হবে। তাহলেই হবে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘আম’। শিল্পীরা চরিত্র মাথায় নিতে চান না। পরিচালক কতক্ষণ চিৎকার করে অভিনয় আদায় করে নেবে। আমি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছয়টি ছেলেকে।
তাদেরকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হচ্ছে। দিলারা জামান, ফালগুনী হামিদ, অর্চিতা স্পর্শিয়া, ফেরদৌস - এদের নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। অর্চিতার সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। তাকে বুঝিয়ে দিলে সহজে বুঝতে পারে। কোনো প্রকার অভিযোগ নেই। কোনো প্যারা নেই। ভবিষ্যতে এই মেয়েটি অনেক ভালো করবে বলে আমি মনে করি।’ জেডএইচ মিন্টু ইতোমধ্যে পূবাইল লোকেশনে তিনদিন কাজ করেছেন। এফডিসিতে কাজ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি এখন।