নিউজ ডেস্ক: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে লড়ছেন দুই সতিন। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দুই সতিনই প্রতীক পেয়েছেন। (বড় সতিন) আঙুর পেয়েছেন ‘কলম’ এবং জাহানারা পেয়েছেন ‘তালগাছ’ প্রতীক। আরটিভি
তারা হলেন, চন্দ্রখানা বুদারবান্নি গ্ৰামের ফজলু আলী ওরফে ফজু কসাইয়ের প্রথম স্ত্রী আঙুর বেগম এবং তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগম। ফজু কসাইয়ের নাজমা নামের আরও একজন স্ত্রী রয়েছেন। প্রথম স্ত্রী আঙুরের পক্ষ নিয়েছে স্বামী তাই তৃতীয় স্ত্রী একাই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানান, অনেক দিন ধরেই তিন স্ত্রীকে নিয়ে ফজলুর ভালো সময় যাচ্ছিল না। ঝগড়া বিবাদে বিপর্যস্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত জাহানারাকে আলাদা রেখে তিনি প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন। এরপরও জাহানারা স্বামীর অমতে নির্বাচনে সতিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামায় ফজলু তার প্রতি নাখোশ হয়েছেন।
ফজলুর তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বলেন, ২০১৭ সালের ইউপি নির্বাচনে স্বামীর সমর্থন নিয়েই আমি প্রার্থী হয়েছিলাম। সেবার ভোটের লড়াইয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলাম। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার সতিন স্বামীকে ফুসলিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চাপ দিচ্ছেন। তবে আমি এতে ভীত নই। জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছে।
প্রথম স্ত্রী আঙুর বেগম বলেন, গ্রামের মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। আমার সঙ্গে সবাই কাজ করছেন। শেষ পর্যন্ত আমিই বিজয়ী হবো।
এই বিষয়ে দুই প্রার্থীর স্বামী ফজলু কসাই বলেন, আমার ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সমর্থন নিয়ে আঙুর ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাই আমি এবং এলাকাবাসী তার জন্য ভোট চাচ্ছি। কিন্তু তৃতীয় স্ত্রী জাহানারাকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও সে প্রথম স্ত্রী আঙুরের বিরুদ্ধে লড়ছে। আমি আমার তৃতীয় স্ত্রী জাহানারাকে পার্শ্ববর্তী নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুলারপাড় এলাকায় বাড়ি করে দিয়েছি। সে সেখানেই থাকে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুই সতিন ছাড়াও ওই ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নুরি বেগম এবং আনজুমা বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।