আফরোজা সরকার : [২] বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। এ দেশ হচ্ছে ভারতের প্রথম সারির ব্যবসায়িক অংশীদার। আমাদের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগীও বাংলাদেশ। মোংলা ও মিরসরাইয়ে ভারতের দুটো অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতের বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিশেষ করে অটোমোবাইলের যন্ত্রাংশ উৎপাদন, হালকা প্রকৌশল পণ্য উৎপাদন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেকে।
[৩] বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়ে তিনি বলেন, পণ্য বৈচিত্রকরণ হলে ভারতেও রফতানি বাড়বে এবং ঘাটতি অনেক কমে যাবে। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়াতে চায় ভারত সরকার। বাংলাদেশের অবকাঠামো ও যোগাযোগে উন্নতি হচ্ছে। কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও আগামীতে বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বহুগুণে বাড়বে বলে মতামত ব্যক্ত করেন।
[৪] তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। দীর্ঘদিনের অনেক অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান হয়েছে, পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে বাকিগুলোরও সমাধান হবে।
[৫] পরিশেষে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে দ্রুততম সময়ে ভারত সরকারের অর্থায়নে রংপুর আইটি পার্কের কার্যক্রম শুরু হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র উদ্যোগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ত্বরান্বিতকরণের লক্ষ্যে এক মত বিনিময় সভা রংপুর চেম্বার ভবনের আরসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় এ কথা বলেন।
[৫] রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটুর সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এবং অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রংপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
[৬] মত বিনিময় সভার শুরুতেই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআই এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রংপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ