লিহান লিমা: [২] প্রত্নতাত্তিকরা খ্রিস্টপূর্ব ২৫শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত মিশরের হারিয়ে যাওয়া ‘সূর্যমন্দির’গুলির মধ্যে একটি আবিষ্কার করেছেন। কায়রো থেকে প্রায় ১২ মাইল দক্ষিণে আবু ঘুরাবের আরেকটি মন্দিরের নীচে সমাহিত দেহাবশেষ উন্মোচন করেন প্রত্নতাত্তিক দল। সিএনএন
[৩]মিশরের ৫ম রাজবংশের ষষ্ঠ রাজা নুসেরা, ১৮৯৮ সালে নির্মিত এই সূর্য মন্দির আবিষ্কার করেন, নুসেরা ২৪০০ থেকে ২৩৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে মিশরকে শাসন করেছিলেন। নতুন অনুসন্ধানে দেখা যায়, নুসেরার মন্দিরটি আরেকটি মন্দিরের ওপর নির্মিত হয়েছিলো।
[৪]ওয়ারশ-এর পোলিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ফর মেডিটেরেনিয়ান অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল কালচারের ইজিপ্টোলজির সহকারী অধ্যাপক ও মিশনের সহ-পরিচালক ম্যাসিমিলিয়ানো নুজোলো, সিএনএনকে বলেন, মাটির নির্মিত এই সূর্যমন্দিরটি দেখতে চিত্তাকর্ষক হলেও নুসেরা তার নিজের সূর্য মন্দির তৈরি করার জন্য এটিকে রীতিমতো ধ্বংস করেছিলেন। কারণ যে সীলগুলো আবিষ্কার করা হয়েছে তাতে নুসেরার আগের শাসনাকরী রাজাদের নাম খোদাই করা আছে। সেই সঙ্গে দুটি চুনাপাথরের স্তম্ভের ভিত, কয়েক ডজন অক্ষত বিয়ারের বৈয়াম পাওয়া গেছে। কিছু বৈয়াম আচারের কাদা দিয়ে ভর্তি যা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হতো। আবিষ্কৃত মৃৎপাত্রগুলো খ্রিস্টপূর্ব ২৫ শতকের মাঝামাঝি, যা নুসেরা বেঁচে থাকার এক বা দুই প্রজন্ম আগে।
[৫]এই মন্দিরগুলো সূর্য দেবতাদের পূজোর জন্য বানানো হয়েছিলো। কিন্তু রাজা মন্দিরের মাধ্যমে তার ক্ষমতাকে বৈধতা দিয়েছিলেন এবং নিজেকে পৃথিবীতে সূর্য দেবতার একমাত্র পুত্র হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন।
[৬]ঐতিহাসিক সূত্রগুলি থেকে জানা যায় যে, মোট ছয়টি সূর্য মন্দির নির্মিত হয়েছিল, কিন্তু এর আগে মাত্র দুটি আবিষ্কার করা হয়েছিল। নুজেলো জানান, মাটি দিয়ে নির্মাণের কারণ হলো এটি সহজেই ভেঙে ফেলা যায় এবং চাপা দেয়া যায়। কোন রাজা এই মন্দির নির্মাণ করেছেন তা জানতে দলটি খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।