নিউজ ডেস্ক : রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত বানিবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ মিয়ার স্ত্রী মোছা. শেফালী আক্তার। স্বামীর প্রত্যাশা পূরণেই চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়বেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ঢাকা পোস্ট
সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন শেফালী আক্তার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বানিবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অন্য কেউ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি।
চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নিহত মো. আব্দুল লতিফ আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।
আব্দুল লতিফের স্ত্রী মোছা. শেফালী আক্তার বলেন, আমার স্বামী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক ছিলেন। আমি নিজেও বানিবহ ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে আমার স্বামী মনোনয়ন পেতেন এবং বিজয়ীও হতেন। যে কারণে তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। যেই রাজনীতির জন্য আমার স্বামীকে জীবন দিতে হয়েছে, সেই রাজনীতির মাঠ থেকে আমি পিছপা হব না।
তিনি আরও বলেন, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ অন্য নেতারা আমার পাশে রয়েছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বানিবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য অন্য কেউ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। আমি শতভাগ নিশ্চিত যে আমি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাব এবং বানিবহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে আমার স্বামীর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করব।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বানিবহ ইউনিয়নের মহিষবাথান গ্রামের নিজ বাড়ির কাছে তিন রাস্তার মোড়ে আব্দুল লতিফ মিয়াকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যান। ফরিদপুর হাসপাতালে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় শনিবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লতিফের স্ত্রী মোছা. শেফালী আক্তার। এরই মধ্যে মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।