ইমরুল শাহেদ: এক সময়ের খ্যাতিমান খলনায়ক আহমেদ শরীফ এখন ঢাকায়। তিনি গত ২৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকা এসেছেন। জানালেন, ২৫ নভেম্বর আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাবেন। তার সঙ্গে এই রিপোর্টারের দেখা হয় এফডিসির প্রযোজক পরিবেশক সমিতির কার্যালয়ে। বেশ তরতাজা হয়েছেন। মাঝে তার স্বাস্থ্য অনেকটা ভেঙ্গে পড়েছিল। জানালেন, তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
সেজন্য তিনি এখন মার্কিন নাগরিক পরিচয় দিতে আনন্দ পান। তার কোর্টের একদিকে মার্কিন পতাকার একটি মনোগ্রামও আছে। তিনি বলেন, ‘আমি নিউইয়র্কে আছি।’ করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বলতে গেলে নিউইয়র্কে প্রতিদিন দু’হাজার করে লোক মারা গেছেন। আমি খুব আতঙ্কিত ছিলাম। কখন কি হয়? টিকা নিয়েও স্বস্তি¡তে ছিলাম না। পরে দেখলাম আমাদের প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। তখন আমি একটি ফার্মেসি গিয়ে বুস্টার ডোজ নিয়ে নিয়েছি।’ সেখানে তার ব্যস্ততা কি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ব্যস্ততা তেমন কিছু না। মেয়ের গ্রাজুয়েশনটা শেষ হয়ে গেলেই তার মনে শান্তি ফিরে আসবে। এখন মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে সময় কাটছে তার।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবার এখন আর সময় নেই। যেভাবে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে সেভাবে বেশ ভালো আছেন। আহমেদ শরীফের মতো আরো কয়েকজন শিল্পী যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করছেন। এর আগে অনেকেই সেখানে স্থায়ী হয়েছেন। নির্মাতা ইবনে মিজানও স্থায়ী হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই তিনি ছেলে টিটো মিজানের কাছে মারা গেছেন। আহমেদ শরীফ অভিনীত প্রথম ছবি ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’। সুভাষ দত্ত পরিচালিত এ ছবিতে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন আহমেদ শরীফ। তবে খলনায়ক হিসেবে ১৯৭৬ সালে তিনি প্রথম অভিনয় করেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর পরিচালিত ‘বন্দুক’ ছবিতে।
এ ছবিটি সুপারডুপার হিট হয়। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি আহমেদ শরীফ টেলিভিশনের জন্য কিছু নাটক-টেলিফিল্মও নির্মাণ করেন। ২০০১ সালে প্রথম নির্মাণ করেন টেলিফিল্ম ‘ক্ষণিক বসন্ত’। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য তিনি নির্মাণ করেন নাটক ‘ফুল ফুটে ফুল ঝরে’। তার আট বছর পর তিনি নির্মাণ করেন নাদের খানের প্রযোজনা ও রচনায় হাস্যরসাত্মক গল্পের নাটক ‘মাইরের ওপর ওষুধ নাই’।