শিরোনাম

প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৪২ রাত
আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৪২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোহাম্মদ এ আরাফাত: শহীদ নূর হোসেন দিবসে গণতন্ত্র নিয়ে আমার কিছু পর্যবেক্ষণ

মোহাম্মদ এ আরাফাত
শহীদ নূর হোসেন দিবসে গণতন্ত্র নিয়ে আমার কিছু পর্যবেক্ষণ: [১] স্বৈরশাসক এরশাদকে হঠিয়ে যখন গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার দিকে হাঁটা শুরু করলো বাংলাদেশ, ঠিক তখনই গণতন্ত্রের বুকে ছুরি মারে বিএনপি। যার উদাহরণ ১৯৯৪ সালের মাগুরা উপ-নির্বাচন। যতো রকম অনাস্থা ও অবিশ্বাসের সূত্রপাত সেখান থেকেই। [২] পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি বিরোধী দলগুলোর বর্জন ও প্রতিরোধের মুখে জনগণকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গায়ের জোরে বাংলাদেশে ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন আয়োজন।
[৩] তারপর, সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের রায় উপেক্ষা করে ১ কোটি ২১ লাখ ভুয়া ভোটারসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে শত শত দলীয় ক্যাডারকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দান এবং বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে ও আন্দোলনের মুখে সরে আসলেও নিজেদের দলীয় রাষ্ট্রপতিকেই তত্ত¡াবধায়ক সরকারে প্রধান বানিয়ে দিয়ে তত্তবধায়ক সরকার ব্যবস্থাও ধ্বংস করে দেয় তারা। [৪] সত্যি কথা বলতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে গণতন্ত্রের কফিনে সর্বশেষ পেরেকটিও মেরে দেয় বিএনপি-জামায়াত। কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য যে ন্যূনতম আস্থার প্রয়োজন হয় তা সেই দিনই শেষ হয়ে যায়। ভবিষ্যতের বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করার জন্য যুদ্ধাপরাধের বিচার হওয়া জরুরি ছিলো, বিএনপির অবস্থান এখানেও ‘তবে-কিন্তু’তে আটকে ছিলো এবং আছে। লেখক : চেয়ারম্যান, সুচিন্তা ফাউন্ডেশন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়