স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগের দিন জানা যায় জ্বরে ভুগছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শোয়েব মালিক। তবে ম্যাচের আগে তাদের ফিট ঘোষণা করা হয়, কোভিড-১৯ পরীক্ষাতেও নেগেটিভ আসেন তারা। দুবাইতে মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নেমে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন রিজওয়ান। অথচ এই ম্যাচের আগে তিনি নাকি দুদিন ছিলেন হাসপাতালে। এমনকি তাকে আইসিইউতেও নিতে হয়েছিল! ডেইলিস্টার
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে পাকিস্তান দলের চিকিৎসক ডা. নজিব এই খবর জানিয়েছেন।
রোমাঞ্চে ভরা সেমিতে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে টানা তিন ছক্কা মেরে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে জেতান ম্যাথু ওয়েড। পাকিস্তানের ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জ এক ওভার আগেই পেরিয়ে যায় অজিরা।
জেতার অবস্থা থেকে এক ওভার আগেই হেরে বিমর্ষ চেহারায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। এসময় তার সঙ্গে দলের চিকিৎসককে দেখা যায়। পাকিস্তানের মিডিয়া ম্যানেজার শুরুতেই জানান রিজওয়ানের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি দূর করতে চান তারা। এজন্যই সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন নজিব।
চিকিৎসক নজিব বলেন এই ম্যাচের আগে হাসপাতালে রীতিমতো আইসিইউতে থাকতে হয়েছিল রিজওয়ানকে, 'নভেম্বরের নয় তারিখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেরে উঠতে তাকে দুই রাত আইসিইউতে থাকতে হয়েছে। সে অবিশ্বাস্যভাবে সেরে উঠেছে। আর ম্যাচের আগে তাকে ফিট দেখাচ্ছিল।'
এদিন টস হেরে ওপেন করতে নেমে ০ রানে জীবন পাওয়ার পর রিজওয়ানই খেলতে থাকেন দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। ১৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে কিপার-ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে ৫২ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। মেরেছেন ৪টি বিশাল ছক্কা।
এরপরে পুরো ১৯ ওভার কিপিংও করেছেন তিনি। দেখে মনে হয়নি তার শারীরিক অসুস্থতা আছে। ব্যাট করার সময় মিচেল স্টার্কের বাউন্সারে হেলমেটে আঘাত পেলেও ভড়কে যাননি।
পাকিস্তান দলের চিকিৎসকদের মতে অসম্ভব জেদ থেকেই ওরকম পারফর্ম করতে পেরেছেন তিনি, 'এতে আমরা তার দৃঢ় সংকল্প ও দলের হয়ে খেলার জন্য জেদ ও তেজ দেখতে পেয়েছি। আর সে আজ (কতটা দারুণ) পারফর্ম করেছে সেটাও আমরা দেখতে পেয়েছি।'