শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেছেন, কেন নুর হোসেন হত্যার পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ হলো না? আজ দেশের মানুষ জানতে চায়, কেন নুর হোসেন হত্যায় মামলা হলো না? ১৯৯১ সালের পর সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর নামে অসংখ্য মামলা হয়েছে কিন্তু নুর হোসেন হত্যার মামলা হলো না কেন?
[৩] তিনি বলেন, এখন মনে হচ্ছে জাতীয় পার্টির দুর্নাম করতেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নুর হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি প্রয়াত নুর হোসেন-এর বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলেন, নুর হোসেন বুকে ও পিঠে যে শ্লোগান লিখেছিলেন,আজ আমরাও সেই শ্লোগান দিচ্ছি। আজ আমরাও বলছি, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। আমরা নুর হোসেন হত্যার বিচার চাই।
[৪] বুধবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আরো বলেন, বিশ^বাজারে তেলের দাম প্রতিদিনই ওঠানামা করে। কিন্তু তেলের দাম কমলে তখন তো দেশে তেলের দাম কমানো হয়না। করোনাকালে অনেক কমদামে তেল কিনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যবসা করেছে সরকার।
[৫] বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, ভতুর্কি দিয়ে হলেও তেলের দাম কমাতে হবে। তিনি উল্লেখ করে বলেন, বিশ^ বাজারে তেলের দাম বাড়লেও জাতীয় পার্টির শাসনাআমলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কখনোই তেলের দাম বাড়াতেন না। বর্তমান বাস্তবতায় তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত।
[৬] গণতন্ত্র দিবসের আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর সামরিক আইন তুলে দিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচন করেছেন। ১৯৯১ পরে দুটি দল গণতন্ত্রের নামে জনসাধারণের সাথে প্রতারণা করেছে। তারা গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেনি। গণতন্ত্রের কথা বলে জনগনের সাথে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তা রক্ষা করেনি।
[৭] তিনি বলেন, করোনাকালে প্রমাণ হয়েছে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা কতটা নাজুক। পর্যাপ্ত টেষ্টের ব্যবস্থাও ছিলো না। তিনি বলেন যে, সবজি কৃষক ৫ থেকে ৭ টাকা দরে বিক্রি করে,তা রাজধানীতে ৭০ থেকে ১০০টাকা দরে বিক্রি হয়। ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজী আর সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজ আর দলবাজের দৌরাত্বে দেশের মানুষ হয়রানীর শিকার হচ্ছে।