সালেহ্ বিপ্লব: [২] খ্যাতিমান আমেরিকান কবি এমিলি ডিকিনসন। জন্ম ১৮৩০ সালের ১০ ডিসেম্বর। মৃত্যু ১৮৮৬ সালের ১৫ মে।
[৩] তিনি ছিলেন চিরকুমারী। কিন্তু তার মৃত্যুর অনেক পর জানা গেলো, একজনের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন তিনি। যাকে লিখা ১৪টি চিঠির ভিত্তিতে ইতিহাসবিদরা বলছেন, এই অনুরাগ ছিলো বিশেষ রকম। কারণ এমিলির প্রিয় মানুষটিও ছিলেন একজন নারী। উইয়ার্ড হিস্টরি
[৪] এমিলির বয়স যখন ১৯, তখন তার বন্ধুত্ব হয় সুসান গিলবার্টের সঙ্গে। এক পর্যায়ে সুসানকে বিয়ে করেন এমিলির ভাই। বিয়ের পর লেখিকার পাশের বাড়িতেই থাকতেন তারা। ডিসট্র্যাকটিফাই ডটকম
[৫] এমিলি ও সুসান একে অপরকে চিঠি লিখতেন। প্রচুর চিঠি বিনিময় করেছেন তারা। এমিলি আগে মারা যান, আমৃত্যু তাদের বন্ধুত্ব অটুট ছিলো। এমিলিডিকিনসনমিউজিয়াম
[৬] কিন্তু সুসানকে লেখা ১৪টি চিঠি জনসমক্ষে আসার পর জন্ম দিয়েছে প্রশ্নের। ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা সরাসরিই বলেছেন, এমিলি ও সুসানের সম্পর্কের মাঝে বন্ধুত্বের বেশি কিছু ছিলো। নিউ ইয়র্ক টাইমস
[৭] একটি চিঠিতে এমিলি তার বন্ধুকে লিখছেন, যখন আমি আমার চারপাশে তাকাই, নিজেকে একাকী অনুভব করি, আমি তোমার জন্য আবারও দীর্ঘশ্বাস ফেলি। ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস, ব্যর্থ দীর্ঘশ্বাস- যা তোমাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনবে না। উইকিপিডিয়া
[৮] সেই চিঠির শেষাংশে এমিলি লিখেছেন, এখন বিদায় সুসি। তোমার জন্য একটি চুমু, লজ্জিতভাবে, যদি কেউ থাকে তোমার ওখানে! কাউকে দেখতে দিও না! মারজিনালিয়ান
[৯] ১৯৯৮ সালের এমিলির সেই সব চিঠি থেকে নির্বাচিত চিঠির সংকলন বের হয় ‘ওপেন মি কেয়ারফুলি’ নামে। দুজনের ৩৬ বছরের বন্ধুত্বের দলিল এটি, কিংবা বলা চলে সম্পর্কের।