খালিদ আহমেদ: [২] পরিবহন ধর্মঘট তুলে নেওয়ার পর রাজধানীতে বাস চালু হয়েছে। ইতিমধ্যে, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
[৩] বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে পরিবহন মালিক সমিতির বৈঠকে মহানগরে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
[৪] অধিকাংশ বাসেই ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ভাড়া নিচ্ছে। ১০ টাকার ভাড়া এখন ১৫ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। ৩৫ টাকার ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৫৫ টাকা।
[৫] রাজধানীর গুলিস্তান থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত আগে ১০ টাকা ভাড়া নিলেও এখন ১৫ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। পরিবহন ধর্মঘট তুলে নেওয়ার পর আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীতে বাস চালু হলে আগের চেয়ে ৫০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে।
[৬] এয়ারপোর্ট-বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিবহন লিমিটেড গুলিস্তান থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১৫ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে। এই পরিবহনের একটি বাসের যাত্রী মো. আবুল হোসেন ও মো. আলম ঢালি। তারা জানান, গুলিস্তান থেকে ফার্মগেটে আমাদের কাছ থেকে আজকে ১৫ টাকা করে ভাড়া নিয়েছে। আগে গুলিস্তান-ফার্মগেট ১০ টাকা ভাড়া নিত।’
[৭] বাসটির চালকের সহকারী মো. সাব্বির হোসেন বলেন, ‘গুলিস্তান থেকে ফার্মগেটের ভাড়া ১০ টাকার জায়গায় ১৫ টাকা নিতেছি। আমাদের এই ভাড়া নিতে বলছে বইলাই নিচ্ছি। কাল ভাড়ার চার্ট টাঙানো অইব।’
[৮] বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ পরিবহনের বাসই আবার গুলিস্তান থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত ৫০ শতাংশের বেশি ভাড়া আদায় করছে। এই পরিবহানের একটি বাসের যাত্রী মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি গুলিস্তান থেকে আবদুল্লাহপুর যাচ্ছি। গুলিস্তান-আবদুল্লাহপুর ভাড়া ছিল ৩৫ টাকা, এখন নিচ্ছে ৫৫ টাকা।’
[৯] ক্ষোভ প্রকাশ করে শাহাবুদ্দিন বলেন, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মধ্যে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। যেখানেই যাবেন, খোঁজ নিলে বুঝতে পারবেন।
[১০] ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা অযৌক্তিক। লিটারে ৫ টাকা করে বাড়ালে সাধারণ মানুষের জন্য ভালো হতো। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর ভয়াবহ চাপ তৈরি হয়েছে।