আহসান হাবিব
সত্য নৈর্ব্যক্তিক, মানুষ তাকে ক্রমাগত উন্মোচন করে। ‘আপেক্ষিক তত্ত¡’ ঠিক নয় বলে একবার পৃথিবীর একশো জন বিজ্ঞানী বিবৃতি দিয়েছিলেন, এই দেখে আইনস্টাইন বলেছিলেন ‘একশো জন কেন, একজন বললেই তো যথেষ্ট যদি বিষয়টি ঠিক হয়’। পৃথিবীর সেরা জ্যোতির্বিদ কেপলারের তৃতীয় সূত্র প্রদানের আটদিন পর ত্রিশ বছরের যুদ্ধপীড়িত প্রাগ উন্মত্ত হয়ে ওঠেছিলো। এই উন্মত্ততা থেকে কেপলার রেহাই পেলেন না, তার স্ত্রী এবং পুত্রকে হারালেন উচ্ছৃঙ্খল সৈনিকদের হাতে এবং মতবাদ প্রদানের কারণে সমস্ত রাজ পৃষ্ঠপোষকতা প্রত্যাহার করা হলো এবং ধর্ম হতে বহিষ্কৃত হলেন। কিন্তু সত্য এই তিনি যা বলেছিলেন তা আজও সত্য। তিনি বলেছিলেন, গ্রহগুলোর পর্যায়কালের (একটি পূর্ণ আবর্তন সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সময়) সূর্য থেকে তাদের গড় দূরত্বের ঘনফলসমূহের সমানুপাতিক’।
যুগে যগে সত্য প্রকাশের জন্য অসংখ্য বিজ্ঞানীকে প্রাণ দিতে হয়েছে, তারা ছিলেন একা, কিন্তু হত্যাকারীরা ছিলো অসংখ্য। এসব ইতিহাস। সত্য কখনো সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে নির্ণীত হয় না। যা মিথ্যা তা পৃথিবীর সব লোক বললেও মিথ্যা। আমাদের শেখ মুজিব তাঁর অবিস্মরণীয় ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘যদি কেউ নায্য কথা বলে, সংখ্যায় যদি সে একজনও হয়, আমরা তা মেনে নেবো’। লেখক : ঔপন্যাসিক
আপনার মতামত লিখুন :