লীনা পারভীন
প্রতিটা মানুষের ভেতর ও বাহির আসলে দুটি দুনিয়া। আমরা ধরেই নিই দুটি আলাদা সত্তার মাঝে কখনো প্রেম হয় না। সবসময় এই দ্বা›িদ্বক অবস্থান আমাদের বিভ্রান্ত করে। আমার অন্তরাত্মার এক নিঃস্বার্থ চেষ্টা থাকে আমার বহিঃআত্মাকে ভালোমন্দের অবস্থান বুঝে তাকে শান্তি দিতে কিন্তু আমার বহিঃআত্মা এতোটাই শক্তিশালী হয়ে যায় মাঝে মাঝে যে আমার আত্মাকে খাঁচাবন্দি করে রেখে নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণের চেষ্টা করে যায়। দিনে দিনে আমাদের অন্তরাত্মা একা হয়ে যেতে থাকে। বাইরের বায়ু, জল না পেয়ে পেয়ে সে নিস্তেজ হয়ে যায়। বাইরেরটুকু দেখে আমরা সান্ত¡না খুঁজি,‘বাহ! এই বেশ ভালো আছি।’ আসলেই কি আমরা ভালো আছি? এই প্রশ্নের উত্তরটা যখনি খুঁজতে যাবো ঠিক তখনই আমাদের ভেতরাত্মাটিকে চিনতে পারবো। সে বেঁচে আছে না তাকে আমি নিজে হত্যা করেছি সেই সংবাদটুকু মাঝে মাঝে আমাদের সবাইকেই রাখতে হয় বৈকি। আমরা যে মানুষ। মেশিনতো নই। মানুষ বলেই আমাদের অন্তরাত্মা বলে আরেকটা সত্তা আছে। বাইরের খোলস দিয়ে যাকে আমরা ঢেকে রাখতে চাই। এ অন্যায়। ঘোর অন্যায়। আমাদের স্রষ্টা থাকে আমাদের ভেতরের আত্মায়।
তাই সে কখনো আমাকে ফিরিয়ে দেয় না। যে মানুষ তার অন্তরাত্মা ও বাইরের আত্মাকে এক জায়গায় রাখতে পারে সেই কেবল একজন সত্যিকারের মানুষ হতে পারে। যেদিন আমরা আমাদের ভেতর ও বাইরের সত্তাকে জয় করতে পারবো সেদিনই মানুষ হিসেবে যে শান্তির খোঁজে ছুটে চলি প্রতিমুহূর্তে সেই কাক্সিক্ষত শান্তির খোঁজ মিলতে পারে। আমাদের সবার জীবন খোলসের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হোক। সবাই তার শান্তির সুযোগটুকু খুঁজে পাক। বাইরের আত্মাকে সতেজ রাখতে গিয়ে যেন আমরা আমার ভেতরের আত্মাকে গলা চেপে মেরে না ফেলি। চির সবুজ ও সতেজ থাকুক আমার ভেতরের আমি। সেইতো আমার আসল আমি। বাইরেরটাতো কেবল দুইদিনের এক মায়া। ভেতর ও বাইর আবার মিলিত হোক একসঙ্গে। দুটি প্রেমিক সত্তাকে খাঁচাবন্দি করা পাপ। Leena Pervin-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।
আপনার মতামত লিখুন :