শিরোনাম
◈ বাংলাদেশে অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে কাজ করতে দেওয়া হবে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ৪৮ ঘণ্টায় বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা, ভারী বর্ষণের শঙ্কা ◈ খেলতে গিয়ে নদীতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু, চলছে নিখোঁজ দুইজনের উদ্ধারকাজ ◈ শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ তুরস্কে ১,৬০০ বছরের প্রাচীন ওয়াইন তৈরির কারখানা উদ্ধার! ◈ ভারতের ৩৯% অবিবাহিত মনে করেন বিয়ে আর জীবনের মাইলফলক নয়, এটি ঐচ্ছিক ◈ বাংলাদেশে চতুর্থ গণভোটের আলোচনা: সংবিধানে কী আছে, আগের অভিজ্ঞতা কী বলছে ◈ বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ কর‌লো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও কেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হলো না?  ◈ নূর ভাই বেঁচে আছেন, সে বেঁচে থাকা মৃত‍্যুর চেয়ে একটু ভালো: অভিনেতা আফজাল হোসেন

প্রকাশিত : ০৬ নভেম্বর, ২০২১, ০৫:০৩ বিকাল
আপডেট : ০৬ নভেম্বর, ২০২১, ০৫:০৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে অচল চট্টগ্রাম, গণপরিবহন না থাকায় বিপাকে কর্মজীবীরা, স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দর

রিয়াজুর রহমান: [২] শনিবার (৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম শহর থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। যারা ঘর থেকে বেরিয়েছেন, তাদের পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।

[৩] নগরের মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে যাত্রীদের। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশায় যারা উঠছেন, তাদেরকে পড়তে হয়েছে শ্রমিকদের তোপের মুখে। অনেক জায়গায় আটকে দেওয়া হয় তাদের। নগরের টাইগারপাস মোড়ে সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। এসময় বিভিন্ন ব্যক্তিগত পরিবহন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে ট্রাফিক পুলিশ গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

[৪] নগরের অলংকার ও এ কে খান মোড়, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল, নতুন ব্রিজ এলাকায় বাসের সব কাউন্টার বন্ধ ছিল। কাউন্টারের সামনে ও রাস্তায় যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। মুরাদপুর, জিইসি মোড় ও টাইগারপাস এলাকায় দুয়েকটি বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। এই বাসগুলোতে ছিল যাত্রীদের ভিড়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউমার্কেটগামী বাসও চলাচল করতে দেখা গেছে।

[৫] এছাড়া শনিবার দ্বিতীয় দিনেও স্থবির হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। সব পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিকরা। এই ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে বন্ধ রয়েছে পণ্য ডেলিভারির কাজ। তবে পণ্য ডেলিভারি না হলেও জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামা চলমান আছে।

[৬] বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মো. মুছা বলেন, আমাদের দাবি ডিজেলের দাম কমানো। যদি গাড়ির ভাড়া বাড়ানো হয়, সে ক্ষেত্রে শ্রমিক ও যাত্রীদের মধ্যে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হবে। যার দায় সরকার বা মালিকপক্ষ কেউ নিবে না। তাই আমাদের একটাই দাবি, ডিজেলের দামে ভর্তুকি দেওয়া হোক।

[৭] সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মনজুর আলম মঞ্জু বলেন, আমরাও চাই না পরিবহনের ভাড়া বাড়ুক। সরকার তেল, ডিজেলের দামে ভর্তুকি দিলে সকলেরই উপকার হবে। এই পণ্যটির দামের ওপর সব পণ্যের দাম নির্ভর করে। রোববার সরকারের সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সভা হবে। ওই সভার সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।

[৮] অপরদিকে রোববার (৭ নভেম্বর) ভোর ৬টা হতে মহানগরীতে গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন গনমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়