ইমরুল শাহেদ: ২০২১-২২ অর্থ বছরে চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানের জন্য চিত্রনাট্য ও প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে চিত্রনাট্য জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৩১ অক্টোবর। সে সময় বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর। ২৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। করোনার মহামারির জন্য বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ করার বিষয় হলো বিগত দুই অর্থ বছরে প্রায় ৩৬টি ছবিকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে যে ছবিগুলোকে অনুদান দেওয়া হয়েছে তার সবগুলো সরকার বুঝে পেয়েছে কিনা জানা না গেলেও ২০২০-২১ অর্থ বছরের ছবিগুলোর কাজ বেশ দৃশ্যমান। কোনো কোনো ছবি নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনাও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ছবির বাজেট নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। সরকার অনুদানের ছবির সংখ্যা বাড়িয়েছে চলচ্চিত্রের বর্তমান আপৎকালীন সময়ের জন্য। সরকার বিবেচনায় রেখেছে, যাতে শিল্পী-কলা-কুশলীরা সচল হতে পারেন। অথচ অনুদানের অর্থ নিয়ে কোনো কোনো কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন না বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে প্রথম সারির অনেক তারকাই এখন অনুদানের ছবিতে কাজ করছেন।
তারা বড় বাজেটের বাণিজ্যিক ছবির মতো পারিশ্রমিক নিচ্ছেন, নাকি অনুদানের ছবি হিসেবে কম পারিশ্রমিকে কাজ করছেন সেটা জানা যায়নি। শাকিব খানের ‘গলুই’ ছবির পারিশ্রমিক নিয়ে মাত্র কিছুদিন আগেও বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু শাকিব খান কত টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন, প্রযোজকের কাছে সেটা বড় কথা নয়। তার ছবিতে শাকিব আছেন তাতেই তিনি সন্তুষ্ট। অনুদানের ছবিতে কাজ করছেন অপু বিশ্বাস, মাহিয়া মাহি, সাইমন সাদিকসহ অনেকেই। বাপ্পী চৌধুরীকেও এই সারিতে শামিল হতে শোনা যাচ্ছে। তবে অনুদানের ক্ষেত্রে প্রাপক প্রয়োজনে তার সঙ্গে একজন প্রযোজক নিতে পারবেন। তাতে অনুদানের অর্থের সঙ্গে প্রয়োজনীয় অর্থ যোগ দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু চলচ্চিত্রের অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠার জন্য প্রয়োজন বাণিজ্যিক ছবি। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে অনুদানের অর্থ বরাদ্দ হওয়া প্রয়োজন বলে অনেকেই মনে করেন। তাতে প্রদর্শন ব্যবসা চাঙ্গা হবে এবং চলচ্চিত্র রক্ষা পাবে।